কলকাতা, ০২ আগস্ট- অজয় মল্লিক ও মনীষা মল্লিক যুগলের দুই বছর আগে পরিচয়। পরিচয় হওয়ার কিছুদিন পরেই মনীষাকে বিয়ে করা প্রস্তাব দেয় অজয়। এ সময় মনীষা সরাসরি অজয়কে জানিয়ে দেন পারিবারিকভাবে বিয়ে হলে তবেই সে রাজি। না হলে রাজি নয়। ব্যস, অজয়ও নিজের মনের মানুষকে পেতে উঠে পড়ে লাগেন এবং পারিবারিকভাবে সব ঠিক করে ফেলেন। দুই পরিবারের সম্মতিতে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু, বিয়ের ফুল ফোটার আগেই করুণ পরিণতি হল এই জুটির। কিন্তু, গত শনিবার বর্জ্রপাত কেড়ে নিল পাত্র অজয় মল্লিকের প্রাণ। আর তার বাগদত্তা মনীষা মল্লিক আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এ যেন বিয়ের আগেই পাকাপাকি বিচ্ছেদ! এ ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনীষা বলেন, আচ্ছা, ও তো আর নেই, আমি কেন বেঁচে গেলাম? আমাকেও কেন নিয়ে গেল না? কলকাতার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লাগোয়া সেনোটাফের চাতালে গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে অজয়ের। অন্যদিকে, গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি মনীষা। অন্যদিনের মতো ঘটনার দিনও অজয়-মনীষা একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়। দুজনে মিলে সেদিন রাখি উৎসবের জন্য কেনাকাটা করার কথাও ছিল। কিন্তু, এসবের আর কিছুই করা হলো না এই যুগলের। মনীষা বলেন, সেদিন প্রথমে ময়দানে কিছু সময় কাটিয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে সেনোটাফের সামনে দিয়ে হাঁটছিলাম। শপিং করে রাতের খাওয়া-দাওয়া করে বাসায় ফেরার কথা। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি নামল। দুজনেই সেনোটাফের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। দুজনের মাথার ওপরে একটি ছাতা। বৃষ্টির সঙ্গে তখন একের পর এক বাজ পড়া শুরু হয়। ভয়ে অজয়কে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলাম। হঠাৎ বিকট একটি শব্দ। আর প্রবল আলোয় চোখ ঝলসে গেল। আর কিছুই মনে নেই। পরে জ্ঞান ফেরার পর দেখতে পাই, আমার থুতনি দিয়ে রক্ত পড়ছে। আর পাশে অজয় পড়ে রয়েছে। কিন্তু অজয়কে ডাকার মতোও কোনো শক্তি ছিল না। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে বাড়িতে খবর দেয়া হয়। বাড়ির লোকজন আসার পরে জানানো হয় অজয় আর বেঁচে নেই। এরপর প্রচণ্ড কষ্টে ভারাক্রান্ত মনে মনীষা বলেন, ওর সঙ্গে থাকব বলেই তো কত কী ভেবে ফেলেছিলাম। সেই ভাবনাগুলোর এবার কী হবে। বর্তমানে মনীষার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু, তার শরীরের এক দিক পুরোটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। ডান কানে ভালো মতো শুনতেও পাচ্ছে না মনীষা। তথ্যসূত্র: বিডি২৪লাইভ আরএস/০৮:০০/ ২ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2n5rRRa
August 02, 2018 at 06:28PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন