কলকাতা, ২৬ সেপ্টেম্বর- আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়৷ তবে বলপূর্বক বনধ বা ধর্মঘট করা অপরাধ। এই পরিস্থিতিতে মানু্ষের নিরপত্তা সুনিশ্চিত করা রাজ্যের দায়িত্ব। কারণ গণতন্ত্রে মানু্ষের মত প্রকাশের সম্পূর্ণ অধিকার আছে৷ মৌলিক অধিকারের স্বার্থে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতেই পারেন। বনধ নিয়ে এই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের৷ হাইকোর্টে দায়ের হওয়া দুটি জনস্বার্থ মামলায়, বুধবার রায় দিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত এবং বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ । গত সোমবার হাইকোর্টে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। একটি মামলা দায়ের করেন তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবী ইদ্রিস আলি৷ অপর মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী রমা প্রসাদ সরকার। বুধবার দুটি মামলার শুনানিতে তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী ইদ্রিস আলি আদালতে জানান বনধ অসাংবিধানিক এবং এতে জনজীবন বিরূপ প্রভাব পড়ে৷ বনধ বা ধর্মঘট আর্থ সামাজিক ভাবে মানুষকে পঙ্গু করে দেয়৷ রাজ্যের উন্নয়ন মূলক কাজের ব্যাঘাত ঘটতেই এই কর্মনাশা বনধ৷ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতে জানান বনধের জন্য মানু্ষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রচুর বাস নামানো হয়েছে৷ জরুরি পরিষেবায় যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে, সেজন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। অবশ্য এদিন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকারের করা মামলা খারিজ করে দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী ইদ্রিস আলির করা মামলায় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল বল প্রয়োগ করে বনধ বা অবরোধ করা যাবে না। রেল এবং ট্রাফিক পরিষেবা কোনও ভাবেই অবরোধ নয়। আটকে রাখা যাবে না জরুরি পরিষেবাও৷ বুধবারই জনস্বার্থ মামলাটি নিষ্পত্তি করে দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্ত এবং বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ। তথ্যসূত্র: কলকাতা২৪৭ একে/০৭:২৫/২৬ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2xQWtLj
September 27, 2018 at 01:25AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন