দুবাই, ২২ সেপ্টেম্বর- বাংলাদেশের বিপক্ষে হেসেখেলে জয় পেয়েছে ভারত। ১৭৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৮২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় এশিয়া কাপের হট ফেভারিট ধোনিবাহিনী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রোহিত শর্মা ৮৩ ও শেখর ধাওয়ান ৪০ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ভারত ৭ উইকেটে জয় পায়। আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। আফগানদের করা ২৫৫ রানের জবাবে ১১৯ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। একদিন পর ফের ব্যাটিং ধস টাইগারদের। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ১০ ওভারে লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাকিব আল হাসানের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল। প্রাথমিক এই বিপর্যয়ের কারণে চ্য়ালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে স্বাবলিল খেলছিলেন রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মের তুঙ্গে ধাওয়ান। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে ১২৭, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৬ রান করা ধাওয়ানকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। সাকিবের বলে সুইফ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন ভারতীয় এ ওপেনার। তার আগে ৪৭ বলে চার বাউন্ডারি এবং এক ছক্কায় ৪০ রান করেন ধাওয়ান। এর আগে বাংলাদেশ ১৭৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। পরপর দুই ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ। লিটন-সাকিব-মুশফিক-মিঠুন-মাহমুদউল্লাহদের ব্যর্থময় দিনে ব্যাট চালিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। অষ্টম উইকেটে তাদের ৬৫ রানের জুটিতে দেড়শ পার করে বাংলাদেশ। ১০১ রানে সাত উইকেট পতনের পর অষ্টম উইকেট জুটিতে মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে জুটি গড়েন অধিনায়ক মাশরাফি। ওয়ানডে ক্রিকেটে অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি খালেদ মাসুদ পাইলট ও মোহাম্মদ রফিকের। ২০০৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৭০ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। ১৫ বছর পরও তাদের সেই রেকর্ড ভাঙতে পারেননি কেউই। জুটির ফিফটি হওয়ার পর হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেন মাশরাফি। ইনিংসের ৪৭তম ওভারে ভুবেনেশ্বর কুমারকে পরপর দুই বলে লংঅনে ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। ওভারের তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ২৬ রান করে ফেরেন মাশরাফি। তার বিদায়ের পর ৫০ বল খেলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করে ফেরেন মিরাজ। শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। দলের কঠিন পরিস্থিতে হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে সঙ্গ দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এই জুটি দলকে ১০০ পার করে। ৫১ বল খেলে ২৫ রান করে জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন রিয়াদ। তার বিদায়ের পর কোনো রান যোগ করার আগেই ফেরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। জাদেজার চতুর্থ শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৪৩ বল খেলে মাত্র ১২ রান করেন সৈকত। এমএ/ ০০:৪৪/ ২২ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2pv9s1D
September 22, 2018 at 06:44AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top