আবু ধাবি, ২৮ সেপ্টেম্বর- ফাইনাল খেলতে জিততেই হবে, হেরে গেলে ধরতে হবে বাড়ি ফেরার বিমান- এমন সমীকরণ মাথায় নিয়েই পাকিস্তানের বিপক্ষে অঘোষিত সেমিফাইনাল ম্যাচে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে অলআউট হয় ২৩৯ রান। টসের সময় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা জানিয়েছিলেন ইনজুরির কারণে খেলতে পারবেন না সাকিব আল হাসান, তার বদলে নেয়া হয়েছে মুমিনুল হককে। এমতাবস্থায় ব্যাটসম্যানদের কাঁধে ছিল বাড়তি দায়িত্ব। কিন্তু মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন ব্যতীত আর কেউই পারেননি নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই দারুণ ফ্লিক শটে দুই রান নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু সেটি আর ধরে রাখতে পারেননি সৌম্য। শাহীন শাহ আফ্রিদির করা দ্বিতীয় ওভারে কোনো রান নিতে পারেননি লিটন, মেইডেন পান শাহীন। জুনায়েদ খানের করা তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে বড় শট খেলতে যান সৌম্য। কিন্তু গড়বড় করেন টাইমিংয়ে, বল উঠে যায় আকাশে। স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে লোপ্পা ক্যাচ নেন ফাখর জামান। প্রমোশন পেয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসেন মুমিনুল হক। পরের ওভারের চতুর্থ বলে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে দুর্দান্ত এক ফ্লিক শটে ডিপ মিড উইকেট ও মিড অনের মাঝ দিয়ে ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান মুমিনুল। কিন্তু পরের বলেই ঘুরে দাঁড়ান শাহীন। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড করেন মুমিনুলকে। ৪ বলে ৫ রান করে ফিরে যান তিনি। পরের ওভারে সৌম্য-মুমিনুলের পথ অনুসরণ করেন লিটনও। জুনায়েদ খানের মিড স্টাম্পে পিচ করা বল নিখুঁত আউটসুইংয়ে ভেঙে দেয় লিটন দাসের অফস্টাম্প। ১৬ বল খেলে মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন। চলতি এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত সব ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন লিটন কিন্তু বড় কোন স্কোর করে দেখাতে পারেননি। তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে মনে হয় আউট হওয়ার জন্যই যেন খেলতে নামেন তিনি। অনেক দিন ধরে ব্যর্থ লিটন, সৌম্য ও মুমিনুলকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। এই তিন ব্যাটসম্যানকে উদ্দেশ্য করে পাপন বলেন, ফাইনালে হয় রান কর, নইলে জাতীয় দলে খেলার আশা ত্যাগ কর। তথ্যসূত্র: বিডি২৪লাইভ আরএস/ ২৮ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Na1S65
September 28, 2018 at 04:29PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন