উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে ইউরোপজুড়ে সফর করতে হয় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়দের। তবে তাদের এ যাত্রা আরামদায়ক করতে সব ব্যবস্থাই রেখেছে স্পন্সর কোম্পানি এমিরেটস এয়ারলাইনস। রিয়াল মাদ্রিদ তারকাদের জন্য দেয়া হয়েছে ৩৪ কোটি পাউন্ড দামের এ৩৮০ মডেলের এয়ারবাস, যাতে রয়েছে আরামদায়ক বিছানা, শাওয়ার, আড়াই হাজার চ্যানেলসহ ট্যাবলেট ও ব্যক্তিগত বিশ্রামাগার। ২০১৮-১৯ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু হয়ে গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ক্লাবগুলো এতে অংশ নিতে সারা বছরই ইউরোপজুড়ে ভ্রমণ করবে। আর আপনি যদি রিয়াল মাদ্রিদের তারকা খেলোয়াড় হয়ে থাকেন, তবে আপনি খুবই ভাগ্যবান মানুষ হিসেবে এমিরেটস এ৩৮০ মডেলের অভিজাত বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন, যার মূল্য ৩৪ কোটি পাউন্ড বা ৩ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা! ফ্লাই এমিরেটস কোম্পানির সঙ্গে মেগা চুক্তির কারণে গ্যারেথ বেল, মার্সেলো, সার্জিও রামোস ও তার সতীর্থরা এমিরেটসের অভিজাত বিমানে প্রথম শ্রেণীর সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন। রামোসরা এ বিমানে ভ্রমণ করায় রিয়াল উল্টো বছরে ৬ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড পেয়ে থাকে! আর রিয়ালের সব খেলোয়াড় দ্বিতল এ বিমানে ভোগ করেন রাজার মতো সব সুবিধা। অর্থাৎ রামোসরা বিনা টাকায় জার্সি পরেন, বিমানে চড়েন আর ক্লাব পায় বিশাল অংকের চেক! সুযোগ-সুবিধা দেখলে আপনি বিস্মিত না হয়ে পারবেনই না। বিমানের ভেতরে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা শাওয়ার। তাই বড় ম্যাচের আগে চাইলে তারা নিজেদের সতেজ করে নিতে পারেন। এরপর চাইলে তারা পানশালায় পরিপূর্ণ সুবিধা নিতে পারেন। যদিও সেসব পানশালায় থাকা পানীয় অ্যালকোহলমুক্ত। বিমান বলেই কিনা! বড় ম্যাচের আগে খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকতে চাইলে পছন্দমতো সিনেমাও দেখে নিতে পারেন। আধুনিক ট্যাবলেটের সাহায্যে চাইলে আপনি আড়াই হাজার চ্যানেল ঘুরে আসতে পারবেন। এতেও যদি সন্তুষ্ট না হন রামোসরা, তবে তারা চাইলে একটু ঘুমিয়েও নিতে পারেন। ঘুম নির্বিঘ্ন করতে তাদের জন্য রয়েছে আরামদায়ক বিছানার ব্যবস্থা। এসব বিছানায় তারা প্রয়োজনমতো তাপমাত্রা বাড়িয়ে কিংবা কমিয়ে নিতে পারেন। বিশ্বের সেরা একটি ক্লাব এমন অভিজাত বিমানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে, এটাই স্বাভাবিক। আসলে তাদের ফরমায়েশ মতোই এটিতে সব সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়। আরামদায়ক ভ্রমণের কারণেই বিমানবন্দরে অবতরণের পর রিয়ালের খেলোয়াড়দের চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ কমই দেখা যায়। ২০১৩ সালে এমিরেটসের সঙ্গে চুক্তি হয় রিয়াল মাদ্রিদের। সেই থেকে এমিরেটসের অভিজাত বিমানে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন লস ব্লাঙ্কোসরা। চুক্তির পর মাঝের সময়টায় রিয়াল তিন-তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছে। সঙ্গত কারণেই রিয়ালের বিখ্যাত সাদা জার্সির বদৌলতে এমিরেটসের নামটিও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, এতে আমিরাতি বিমানের ব্র্যান্ডটির ভাবমূর্তিও আরো উজ্জ্বল হয়েছে। এ৩৮০ মডেলের বিমানে মোট ৫২৫ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারে। চার ইঞ্জিনের এ বিমান তৈরি হয় ২০০৫ সালে, সেই থেকে নিখুঁত সেবা দিয়ে চলেছে বিমানটি। এটি টানা ৮ হাজার ৫০০ নটিক্যাল মাইল চলতে পারে এবং ঘণ্টায় গতি ৫৫৯ মাইল। এ বিমানে চড়ে রিয়ালের খেলোয়াড়রা কখনই ক্লান্তি নিয়ে অভিযোগ করেননি। তবে শুধু রিয়ালের সঙ্গেই নয়, এমিরেটসের চুক্তি রয়েছে ইংলিশ ক্লাব আর্সেনাল, ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ও ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন এসি মিলানের সঙ্গেও। আর্সেনালের সঙ্গে এমিরেটসের জার্সি চুক্তিটা বেশ লম্বাই। গত ফেব্রুয়ারিতে এ চুক্তিটাকে আরো পাঁচ বছরের জন্য নবায়ন করা হয়, যার আর্থিক মূল্য ২০ কোটি পাউন্ডের মতো। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আর্সেনাল খেলোয়াড়দের জন্যও এ৩৮০ মডেলের অভিজাত বিমান দেয় এমিরেটস। গত জুলাইয়ে অবশ্য এমিরেটসের বোয়িং ৭৭৭ মডেলের বিমানে চড়ে প্রাক-মৌসুম সফরে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় আসেন আর্সেনাল খেলোয়াড়রা। পিএসজি তারকা নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে, এডিনসন কাভানিরাও চড়েন এমিরেটসের বিমানে। গত ফেব্রুয়ারিতে চমক দেখায় এমিরেটস। তাদের তৈরি বিশেষ এক বিমানে চড়ে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ খেলতে যায় পিএসজি। এ বিমানের গায়ে আঁকা ছিল নেইমার, এমবাপ্পেদের বিশাল সব ছবি। তার মানে, বিমান দেখেই যে কেউ অনুমান করতে পেরেছেন মাদ্রিদে আসছেন পিএসজি তারকারা। দ্য সান, মেইল অনলাইন তথ্যসূত্র: বনিকবার্তা আরএস/ ২৬ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2xFXaYx
September 26, 2018 at 11:51PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top