মেলবোর্ন, ২১ সেপ্টেম্বর- সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত থাকা বাংলাদেশি ছাত্রী মোমেনা সোমা (২৫) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে। বৃহস্পতিবার ভিক্টোরিয়ান সুপ্রিম কোর্টে তার বিরুদ্ধে একক অভিযোগের শুনানির সময় সে দোষ স্বীকার করে নেয়। পড়াশোনার ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যায় মোমেনা। এর অল্প পরেই গত ফেব্রুয়ারিতে মিল পার্ক এলাকায় সে অবস্থান করতে থাকে রজার সিঙ্গারাভেলুর বাড়িতে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টা তাদের সঙ্গে অবস্থানের সময়েই সে আশ্রয়দাতা রজার সিঙ্গারাভেলুকে হত্যার চেষ্টা করে একটি ছুরি দিয়ে। তখন রজার ঘুমাচ্ছিলেন। গলায় ছুরির আঁচড় টের পেয়ে রজার নিজের মেয়েকে নিয়ে কোনোমতে পালান। এ ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন দেশে। এ খবর দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নাইন নিউজ অনলাইন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিক মোমেনা সোমা স্টুডেন্ট ভিসায় মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করতে অস্ট্রেলিয়ার লা ট্রোবে ইউনিভার্সিটিতে যায়। সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থানের পরেই ঘটিয়ে ফেলে ওই ঘটনা। ওই সময় সে আশ্রয় নেয় রজার সিঙ্গারাভেলুর বাসায়। সেই বাসায় রজারের ৫ বছর বয়সী মেয়েও থাকতো। বৃহস্পতিবারের শুনানিকালে মোমেনা স্বীকার করেছে, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও আদর্শগত কারণে- যাকে বলা হয় জিহাদ, এমন উদ্দেশ্য নিয়ে সে ফেব্রুয়ারিতে তার আশ্রয়দাতার ওপর ২৫ সেন্টিমিটার লম্বা ছুরি নিয়ে হামলা করে। তার বক্তব্য, সরকার বা জনগণ অথবা উভয়কে ভয় দেখানোর জন্য এটা করা হয়েছিল। মোমেনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বলা হয়েছে, তার এই কর্মকাণ্ড রজার সিঙ্গারাভেলুর শারীরিক ক্ষতির বড় কারণ ছিল। এমনকি তার জীবন হানি হওয়ার সমূহ আশঙ্কা ছিল। এই হামলা কোনো প্রতিবাদ, ভিন্নমতাবলম্বী বা শিল্পায়িত কোনো কারণে ঘটেনি। ওদিকে পুলিশের কাছে সোমা বলেছে, এক সপ্তাহের মতো অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন পরিবারের সঙ্গে অবস্থানকালে সে বালিতে ছুরি চালিয়ে ছুরিকাঘাতের চর্চা করছিল। এক পর্যায়ে রজারকে ঘুমন্ত দেখে সে তার ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করে। তার ভাষায় রজার ছিলেন ভেরি ভালনার্যাবল। ওই পরিবারের সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান করে সোমা। এ সময় তার সঙ্গে রজারের ৫০টির বেশি শব্দ বিনিময় হয় নি। রজার তার কাঁধে বা গলায় আঘাতের অনুভূতি পেয়ে জেগে ওঠেন। তিনি তার বিবৃতিতে বলেছেন, জেগেই আমার পাশে তাকে (সোমা) দেখতে পাই। সে হাঁটু গেঁড়ে বসে ছিল। তার দুহাতে ধরা ছিল চাকু। আর চাকুটি ছিল আমার গলায়। এ সময় তাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন রজার। তারপর নিজের মেয়েকে নিয়ে সেখান থেকে পালান। ওদিকে পুলিশের কাছে সোমা বলেছে, পশ্চিমাদের ওপর জিহাদি হামলা চালানোর জন্য ইসলামিক স্টেট নারীদের উদ্বুদ্ধ করছে। এই গ্রুপের সঙ্গে তার বেশির ভাগ যোগাযোগ হয়েছে ফেসবুকের মাধ্যমে। সোমা বলেছে, তাই আমি এমন জিহাদের বিষয়টি মানতে বাধ্য ছিলাম। মনে হতো এটা আমার ওপর একটি দায়িত্ব। আমাকে এ দায়িত্ব পালন করতেই হবে। সূত্র: মানবজমিন এমএ/ ৩:০০/ ২১ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2QPz85E
September 21, 2018 at 09:09PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top