হাওড়া, ১ সেপ্টেম্বরঃ বেসরকারী ব্যাংককর্মী পার্থ চক্রবর্তী খুনের ঘটনায় ধৃত শেখ সামসুদ্দিনকে ১২ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই ঘটনায় মনসুর আলি নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, সামসুদ্দিনের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিল মনসুর। খুনে মদত দেওয়ার অভিযোগে আটক করা হয়েছে সামসুদ্দিনের বাবাকেও।
বুধবার দুপুরে খুন হন পার্থ। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সেই খুনের কিনারা করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত শেখ সামসুদ্দিনকে। রহস্যের কিনারা হয় পার্থ চক্রবর্তীর দেহাংশে লেগে থাকা দর্জির দোকানের ছাট কাপড় থেকে। বস্তাবন্দি পার্থর দেহ মোড়া ছিল ছাট কাপড়ের টুকরোয়। ছাট কাপড়ে মেলে কেটিএম নামে হোসিয়ারি কোম্পানির স্টিকার। ওই কোম্পানির মালিক জানান, একমাত্র সামসুদ্দিনই তাদের দর্জি।
সেই সূত্র ধরে সামসুদ্দিনকেই সন্দেহ করে পুলিশ। পার্থর মোবাইলের শেষ টাওয়ার লোকেশনও ছিল সামসুদ্দিনের বাড়ির কাছেই। এই দুই সূত্র ধরে সামসুদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন হাওড়ার পুলিশ সুপার গৌরব শর্মা। সামসুদ্দিনকে জেরা করার পর মুণ্ড ও বাকি দেহাংশের সন্ধান মেলে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সামসুদ্দিনের স্ত্রী বন্ধন ব্যাংক থেকে দেড় লক্ষ টাকা ঋণ নেয়। ঋণ শোধ না করায় তাগাদায় যান পার্থ। রাগের মাথায় তাঁর মাথায় আঘাত করে সামসুদ্দিন। প্রমাণ লোপাট করতে দেহ টুকরো টুকরো করা হয়। মুণ্ডহীন দেহ ফেলা হয় মাকড়দহে। জাতীয় সড়কের ধারে অঙ্কুরহাটি থেকে উদ্ধার হয় কাটা মাথা। পার্থ চক্রবর্তীর কাছে ঋণগ্রহীতাদের থেকে আদায় করা ৩ লক্ষ টাকা ছিল। সামসুদ্দিনের কাছ থেকে সেই টাকাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2oufRJO
September 01, 2018 at 09:03PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন