দুবাই, ২৮ সেপ্টেম্বর- তৃতীয়বারের মতো ও টানা দ্বিতীয়বার এশিয়ার শ্রেষ্ঠ টুর্নামেন্টের ফাইনালে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। গতবারের মতো এবারো এশিয়া কাপের ফাইনালে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ভারত। এ রিপোর্ট লেখা অবধি উইকেটে অপরাজিত আছেন সৌম্য সরকার (১৯) এবং মাশরাফি বিন মর্তুজা (১)। বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন লিটন দাস এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে বাংলাদেশ বিনা উইকেটে তুলে নেয় ৬৫ রান। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির পরেই ক্যাচ তুলে দিয়ে জীবন পান লিটন দাস। ২০০৩-০৪ মৌসুমে ভিবি সিরিজের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সাইমন্ডস ভারতের বিপক্ষে ৩২ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন। লিটন এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন। যা কোনো ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। ১৮তম ওভারে দলীয় শতক তুলে নেন মিরাজ-লিটন। ইনিংসের ২১তম ওভারে কেদার যাদবের বলে আম্বাতি রাইডুর হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজ। তার আগে ৫৯ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ৩২ রান করেন তিনি। দলীয় ১২০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আগের ২৭ ওয়ানডেতে বাংলাদেশি কোনো ওপেনিং জুটিতে শতক আসেনি। সবশেষ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে শতক এসেছিল। ২৪তম ওভারে যুভেন্দ্র চাহালের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন ইমরুল কায়েস। তিন নম্বরে নামা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ২ রান। দলীয় ১২৮ রানের মাথায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারায়। ২৭তম ওভারে বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম। কেদার যাদবের বলে ডিপ-মিড উইকেটে জাসপ্রিত বুমরাহর হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৫ রান। দলীয় ১৩৭ রানের মাথায় বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারায়। স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ২ রান যোগ হতেই ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন মোহাম্মদ মিঠুন (২)। ২৯তম ওভারে ৮৭ বলে ১১টি চার আর দুটি ছক্কায় ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাস। ৩৩তম ওভারে দলীয় ১৫১ রানের মাথায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বিদায়ে বাংলাদেশ পঞ্চম উইকেট হারায়। কুলদীপ যাদবের বলে বাউন্ডারি সীমানায় জাসপ্রিত বুমরাহর হাতে ধরা পড়েন মাহমুদুল্লাহ (৪)। এরপর দলীয় ১৮৮ রানে মহেন্দ্র সিং ধোনির বিতর্কিত স্ট্যাম্পিংয়ে ব্যক্তিগত ১২১ রানে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস। এর আগে ১১৭ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন লিটন। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় দুবাইয়ের মাঠে নামে দুই দল। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের দলপতি রোহিত শর্মা। টি-টোয়েন্টি ফরমেটে গত আসরে ভারতের কাছে হেরে ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি বাংলাদেশের। তার আগে ২০১২ সালে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে হেরে ট্রফিতে চুমু দেয়া হয়নি ম্যাশদের। এবারের আসরের গ্রুপপর্বে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে এশিয়া কাপের মিশন শুরু করেছিল গতবারের রানার্সআপ বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারতে হয়েছিল মাশরাফির দলকে। সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ের পর টুর্নামেন্টে টিকে থাকাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় টাইগারদের সামনে। আফগানদের সুপার ফোরের ম্যাচে হারিয়ে ফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখে মুশফিক-সাকিবরা। এরপর শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে নামছে লাল-সবুজরা। এদিকে, এশিয়া কাপের এবারের আসরে এখন ভারত অপরাজিত। গ্রুপপর্বে পাকিস্তান-হংকংকে হারিয়ে সুপার ফোরে উঠা ভারত হারিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। পরে পাকিস্তানকেও উড়িয়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া। আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ড্র করে। এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত ১১বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। এরমধ্যে দশবারই জয় পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। একবার জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালের আসরে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল টাইগাররা। এছাড়া ওয়ানডে ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ৩৪ মুখোমুখিতে ২৮টিতে জয় পেয়েছে ভারত। বাংলাদেশের জয় ৫টিতে। বাংলাদেশ একাদশ: মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিথুন, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম অপু, রুবেল হোসেন এবং মোস্তাফিজুর রহমান। ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, আম্বাতি রাইডু, কেদার যাদব, মহেন্দ্র সিং ধোনি, দিনেশ কার্তিক, কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, যুভেন্দ্র চাহাল, ভুবনেশ্বর কুমার এবং জাসপ্রিত বুমরাহ। সূত্র: সারাবাংলা এমএ/ ০৮:২২/ ২৮ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2xKjiRD
September 29, 2018 at 02:27AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top