দুবাই, ২৯ সেপ্টেম্বর- এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে আরও একবার খুব কাছে গিয়েও ট্রফি ছোঁয়া হলো না টাইগারদের। খেলায় জয়-পরাজয় থাকবে, তাই এটা মেনে নিতে খুব একটা কষ্ট হওয়ার কথা নয় বাংলাদেশেরও। কিন্তু খেলার মাঠে তো আর প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াতে পারেন না ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আম্পায়াররা। দুঃখজনক হলেও সত্য, এমন ঘটনাই ঘটে সব বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এবং যখন আবার তাদের প্রতিপক্ষ থাকে ভারত। ২০১৫ সালের রোহিত শর্মাকে আউট না দেওয়ার দগদগে ক্ষতটা এখনও বাংলাদেশিদের পীড়া দেয়। সেটাই রেশ কাটতে না কাটতে আবারও আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বলি সেই বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষও সেই ভারত। এশিয়া কাপের ফাইনালে দুর্দান্ত সূচনার পর দ্রুত উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল বাংলাদেশ, তখন সৌম্য সরকারের সঙ্গে জুটি গড়ে প্রতিরোধের আভাস দিচ্ছিলেন লিটন দাস। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটন দাসকে কোনোভাবেই যখন ভারতীয় বোলাররা পরাস্ত করতে পারছিল না। চার-ছক্কার ফুলঝুড়িতে সেঞ্চুরি করা সেই লিটন দাসের ওপরই নেমে এলো আম্পায়ারের খড়গ। ৪১তম ওভারের শেষ বলে (কুলদীপ যাদবের) এগিয়ে মারতে চেয়েছিলেন লিটন। টিভি রিপ্লাইয়ে দেখা গেছে, প্রথম পর্যায়ে পা ঠিক না থাকলেও ধোনি বল স্ট্যাম্পিং করার আগে নিরাপদে পা ছিল লিটন দাসের। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে থার্ড আম্পায়ার লিটন দাসকে আউট ঘোষণা করেন। এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে। শুধুই কি এতটুকু, না ভারতকে জেতানোর জন্য আরও কিছু করা হয়েছে, এসব খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন ক্ষুব্ধ বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীরা। ইতোমধ্যে আর দুএকটি বিতর্কিত বিষয় খুঁজে বের করেছেন তারা। ম্যাচের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে জাদেজার ব্যাট ছুঁয়ে মুশফিকের হাতে গেলেও আউট না দেওয়া আরেকটি ইস্যু। যদিও হাতে রিভিউ ছিল বলে বাংলাদেশ তা কাজে লাগিয়ে জাদেজাকে সাজঘরে পাঠায়। কিন্তু ব্যাটে লাগার শব্দ সবাই শুনতে পেলেও মাঠের দুই আম্পায়ার কেন শুনতে পেলেন না? নাকি শুনেও না শোনার ভান করেছিলেন- সেটা নিয়েও প্রশ্ন নেটিজেনদের। এরই মধ্যে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ম্যাচ শুরুর আগে দুদলের খেলোয়াড়রা যখন পাশাপাশি দাঁড়িয়েছিলেন, তখন ট্রফিটা মাঝামাঝি না রেখে ভারতের দিকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল। যা নিয়ে নেটিজেনদের মন্তব্য করছেন, ট্রফি তো ম্যাচ শুরুর আগেই ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মাঠে শুধু ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। সেটার পথে যখন লিটন দাস বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন তাকে সরিয়ে দেওয়ার এর চেয়ে উত্তম পথ আর খোলা ছিল না। মোড়ল বলে কথা। তথ্যসূত্র: বিডি প্রতিদিন আরএস/ ২৯ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2xTfKNh
September 29, 2018 at 09:03PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন