দুবাই, ২৯ সেপ্টেম্বর- এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত সূচনার পর দ্রুত উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল বাংলাদেশ, তখন সৌম্য সরকারের সঙ্গে পাল্টা প্রতিরোধের চেষ্টা করছিলেন ওপেনার লিটন দাস। ঠিক তখনই ১২১ রানে থাকা লিটন দাসকে বিতর্কিত আউটের সিদ্ধান্ত জানান টিভি আম্পায়ার রড টাকার। পা দাগে থাকলেও বিতর্কিতভাবে আউটের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে সমালোচনার ঝড় বইয়ে যাচ্ছে দেশে-বিদেশে। তা কে এই রড টাকার? যারা তার সম্পর্কে অবগত নন, তাদের মধ্যে এমন প্রশ্ন আসতে পারে ফাইনালের মতো এমন হাইভোল্ডেজ ম্যাচের দায়িত্ব কেন তার মতো একজন অদক্ষ আম্পায়ারকে দেওয়া হলো। আসলে রড টাকার একজন অভিজ্ঞ আম্পায়ার। তার পুরো নাম রন্ডি জেমস টাকার। তবে রড টাকার নামেই ক্রিকেট বিশ্বে তিনি পরিচিত। ১৯৬৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে জন্ম নেওয়া রড টাকার প্রথম জীবনে একজন ক্রিকেট অলরাউন্ডার ছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ৫ হাজার রান এবং ১২৩টি উইকেট রয়েছে। এমনকি একটি ক্লাবের কোচও ছিলেন ২০০০ সাল পর্যন্ত। এরপর তিনি আম্পায়ারে মনোনিবেশ করেন এবং ২০০৮ সালে আইসিসির আম্পায়ারের তালিকায় ঢুকে পড়েন। নিজের দক্ষতা ও নৈপুণ্যে মাত্র দুই বছর পর আইসিসির এলিট আম্পায়াদের তালিকাভুক্ত হন। রড টাকারের টেস্টে ৬৩, ওয়ানডেতে ৭৩ এবং আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৩৫টি ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সেমিফাইনালের আম্পায়ার ছিলেন। আর ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করেন। তার মতো এমন একজন অভিজ্ঞ আম্পায়ার কিভাবে লিটন দাসের পা থাকার পরও আউট দিলো সেটা নিয়ে মূলত সমালোচনা চলছে। কেউ কেউ বলছে, ২০১৫ বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার পর ভারতের বিপক্ষে আবারও আম্পায়ারের বিমাতাসুলভ আচরণের শিকার হলো বাংলাদেশ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটন দাসকে এদিন কোনোভাবেই যখন ভারতীয় বোলাররা পরাস্ত করতে পারছিল না। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে সেঞ্চুরি করা লিটন দাসের ওপরই সেই খড়গ নেমে আসে রড টাকারের ওই সিদ্ধান্তে। ৪১তম ওভারের শেষ বলে (কুলদীপ যাদবের) এগিয়ে মারতে চেয়েছিলেন লিটন। রিপ্লাইয়ে দেখা গেছে, প্রথম পর্যায়ে পা ঠিক না থাকলেও ধোনি বল স্ট্যাম্পিং করার আগে নিরাপদে পা ছিল লিটন দাসের। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে থার্ড আম্পায়ার লিটন দাসকে আউট ঘোষণা করেন। এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে। এরই মধ্যে রড টাকারের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজেবল (বাতিল) করে দেয়া হয়েছে। ডিটি টাইগারর্স সোশ্যাল মিডিয়া সিকিউরিটি টিমের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। তথ্যসূত্র: বিডি প্রতিদিন আরএস/ ২৯ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Qi42T4
September 29, 2018 at 09:06PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন