চট্টগ্রাম, ২৪ অক্টোবর- দুবাইতে থেকে গতকাল রাতে দেশে ফিরেছেন তামিম। তবে যেহেতু রিহ্যাবে আছেন, প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোন আলাপে জানিয়েছেন দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামে যাচ্ছেন না তিনি। তবে শেষ ম্যাচ দেখতে নিজ শহরে যেতেও পারেন তিনি। তার শহরের সাগরিকায় ওয়ানডে হচ্ছে কিন্তু খেলতে পারবেন না তিনি। এটা ভাবতেও খারাপ লাগছে তার নিজের। এটাকে দুর্ভাগ্যজনক ভাবছেন তামিম। নিজ শহরে তামিম নেই এবার, প্রায় এক যুগ পরে বন্দর নগরীর ওয়ানডেতে নেই চট্টগ্রামের আর কেউ। সেই ১৯৮৮ সালে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, জাহিদ রাজ্জাক মাসুম ও আকরাম খানদের হাত ধরে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল চট্টলার, এবার তামিম ইনজুরিতে ছিটকে পড়ায় জাতীয় দল ওয়ানডেতে হলো চট্টগ্রাম শূন্য। দেশের ক্রিকেটের প্রায় এক ডজন নামী ও তারকা ব্যাটসম্যান যে শহরে জন্ম নিয়েছেন, সেই শহর থেকে এখন তামিম ছাড়া আর কেউই নেই দলে। ভাবা যায়! একসময় যে চট্টগ্রামকে ভাবা হতো ব্যাটসম্যানের ডিপো, সেই চট্টগ্রাম এখন শুধুই তামিম নির্ভর। দশ বছরের বেশি সময় ধরে আর একজন ব্যাটসম্যানও উঠে আছেননি এ শহর থেকে। সেটাকে খুবই হতাশার ও দুঃখজনক অভিহিত করে তামিম বলেন, আর কোনো ক্রিকেটার বা ব্যাটসম্যান উঠে না আসাটা হতাশার। ক্রিকেটের এই নতুন প্রতিভার উন্মেষ না ঘটার কারণ খুঁজছেন তামিম ইকবালও। তার ধারণা স্থানীয় সংগঠকরা ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড সূচারুরূপে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করতে না পারায় জাতীয় ক্রিকেটারের সংখ্যা কমতে কমতে শূন্যতে এসে নেমেছে। তামিম বলেন, এক্ষেত্রে বিসিবিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। বোর্ড বয়সভিত্তিক ক্রিকেট পরিচালনা করে যাচ্ছে। নিয়মিতই অনুর্ধ্ব-১৩, ১৫, ১৭ ও ১৯ এর কার্যক্রম চালাচ্ছে। কিন্তু যাদের আসল কাজ করা উচিৎ তারা কি সে কাজটা করছেন? আমি শুধু এই প্রশ্নটা তুলতে চাইবো। বোর্ড বিসিএল, এনসিএল আয়োজন করছে। এর বাইরে কি করতে পারে তাঁরা? স্থানীয় লীগ আয়োজন এবং বন্দর নগরীতে ক্রিকেটার গড়ে তোলার দায়িত্ব তো স্থানীয় সংগঠকদের। তাঁরা কি তাদের কাজ গুলো করছেন? - প্রশ্ন তামিমের। তামিম আরও যোগ করেন, তবুও রক্ষা মেয়র আ জ ম নাসির বর্তমানে কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রামের লিগটা প্রায় নিজ উদ্যোগেই চালু রেখেছেন। কিন্তু চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস) কি করছে? চট্টগ্রাম থেকে এখন আর ক্রিকেটার না উঠে আসায় চিন্তিত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও। তবে তিনি শুনিয়েছেন আশার কথা। বিসিবির তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম থেকে ক্রিকেটার উঠিয়ে আনার কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। জাগোনিউজের সাথে আলাপে নান্নু বলেন, চট্টগ্রামে হওয়া ট্যালেন্ট হান্টগুলোতে আমাদের চট্টগ্রামের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সে অর্থে সম্পৃক্ততা ছিলো না। যার ফলে পিউর ট্যালেন্ট বাছাই করা যায়নি এবং সেগুলো পরিচর্যাও করা হয়নি। তবে এবার বিসিবি এ ব্যাপারে সচেতন হয়েছে। অন্যান্য আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার মতো চট্টগ্রামেও বিসিবির তত্ত্বাবধানেই হবে ট্যালেন্ট বাছাই ও পরিচর্যার কাজ। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/০৮:১৪/১৪ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2SdGb8M
October 24, 2018 at 06:49PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন