ঢাকা, ১৪ অক্টোবর- অজানা শঙ্কায় শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া যাত্রা। বাঁহাতের কনিষ্ঠা আঙুলে ইনফেকশন এতোটাই ভোগাচ্ছিল যে যাওয়ার আগে বলেছিলেন আর কখনো স্বাভাবিক নাও হতে পারে সে আঙুল। প্রিয় তারকার মুখে অমন শঙ্কার কথা শুনে বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন অগণিত সাকিব সমর্থক। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার কি আর স্বরূপে ফিরতে পারবেন? অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে নয় দিনের চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পা রেখেই ভক্ত-সমর্থক তথা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করলেন সাকিব। নিজেই জানান দিলেন অতো চিন্তার কিছু নেই। আঙুলের ইনফেকশন প্রায় ভালোর পথে। সবকিছু ঠিকমতোই এগুচ্ছে। নতুন কোনো জটিলতা দেখা না দিলে হয়তো মাসদুয়েকের মধ্যেই ব্যাট-বল হাতে মাঠে নেমে পড়তে পারবেন সাকিব। রোববার বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে মেলবোর্ন-সিঙ্গাপুর হয়ে রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের এ অধিনায়ক। কথা বলেছেন সংবাদ মাধ্যমের সাথে, শুনিয়েছেন সব আশার কথা। আঙুলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানিয়ে সাকিব বলেন, এখন বেশ ভালো আছে। ইনফেকশনটাও নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তবে প্রতি সপ্তাহে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ইনফেকশনের অবস্থা জেনে নিতে হবে। ইনফেকশন বাড়লো কিনা বা নতুন কোনো সমস্যা দেখা দিলো কি-না। তবে এটুকু বলতে পারি এখনও পর্যন্ত ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণেই আছে। চিন্তার কিছু নেই। আঙুলের অবস্থা এখন খুবই ভালো। কোনো সমস্যা অনুভব করছি না। শুধু সময়ের ব্যাপার কতদিনে আমার আঙুলের শক্তি ফিরে আসে। সাকিব অস্ট্রেলিয়া থাকতেই জানা গিয়েছিল অন্তত তিন মাসের মধ্যে আঙুলে কোনো অপারেশন করানো যাবে না। ইনফেকশন সেরে গেলে পরীক্ষামূলকভাবে নামতে পারবেন মাঠে। দেশে ফিরেও প্রায় একই কথা বললেন সাকিব। তবে তিনি সার্জারির সময়সীমা বাড়িয়ে নিয়ে গেলেন ছয় থেকে বারো মাসে। এমনকি সার্জারি না করেও যে খেলা সম্ভব হতে পারে সে কথাও জানান বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। আঙুলের সার্জারি ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে করা যাবে না। কারণ ইনফেকশন যদি হাড়ের ভেতরে থেকে থাকে সেটা আসলে সরার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওখানে রক্ত পৌঁছায় না। যেহেতু অ্যান্টিবায়োটিকরা রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়, যেখানে ব্লাড যায় না সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক কিভাবে কাজ করবে। তাই ইনফেকশনের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে কোনো সার্জারি করা যাবে না। তবে ভালো ব্যাপার হচ্ছে সার্জারি না করেও হয়তো খেলা সম্ভব হতে পারে। এখন যেহেতু সার্জারি করার সুযোগ নেই, তাই আমি বলেন বা ফিজিওর পরামর্শে বলেন চিন্তা করা হচ্ছে যে সার্জারি বাদে কিভাবে খেলা যায়। দেশ ছাড়ার আগেই বলেছিলেন আঙুল আর শতভাগ ঠিক হবে না। এবারও বললেন সে কথাই। তবে এবার জানিয়েছেন শতভাগ ঠিক না হলেও খেলতে কোনো সমস্যা হবে না। সাকিব বলেন, আঙুলটা যে শতভাগ ঠিক হবে না সেটা তো সত্যি কথা। যত যাই করুক এটা কখনোই পুরোপুরি ঠিক হবে না। এরকম অনেকেরই আছে। তবে ঠিক না হলে যে খেলতে পারবে না এমনটাও নয়। এ ব্যাপারে আমি কবে জেনেছি সেটা বলা মুশকিল। আঙুলে সার্জারির যে অপশনগুলো ছিল, সেগুলো করলেও যে পুরোপুরি ঠিক হবে না সেটা জেনেছিলাম মূলত। সাকিব এরই মধ্যে মাঠে ফেরার জন্য নিজের রিহ্যাব প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি ইতোমধ্যে রিহ্যাব প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। অস্ট্রেলিয়া থাকতেই শুরু করেছি। ওখানে হ্যান্ড থেরাপিস্টকে দেখানো হয়েছে। উনি যেভাবে বলেছে সেভাবে ফলো করে করে কাজ করতে হবে। যত বেশি করা যাবে তত আমার জন্য ভালো। যত বেশি করে করে হাতের শক্তিটা আবার আনা সম্ভব সেটাই এখন মূল উদ্দেশ্য। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/১২:১৪/১৪ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2OqEMgM
October 14, 2018 at 07:15PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন