ঢাকা, ২১ অক্টোবর- ২০১০ থেকে ২০১৬, সময়ের হিসাবে হবে পাক্কা ছয় বছর। তবে ইমরুল কায়েসের জন্য এ সময়টা শুধুই সময় না। এ সময়টা তার কাছে অনেক আরাধ্য। আরাধ্য এ অর্থে যে, ২০১০ সালে ইমরুল পেয়েছিলেন তার প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। পরের সেঞ্চুরি পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয় ২০১৬ সাল পর্যন্ত। এ সময়ে ৪৮ ইনিংস খেলেছেন রঙিন পোশাকে। কিন্তু তিন অঙ্কের ছোঁয়া পাননি। ২০১৮ সালে আবার আসল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আবার রঙিন পোশাকে উড়লেন ইমরুল। উড়ালেন সেঞ্চুরির ঝান্ডা। রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে পেলেন সেঞ্চুরির স্বাদ। এবার আর অপেক্ষা বাড়াননি। দুই বছরেরও কম সময়ে, ১৩ ইনিংসের ব্যবধানে ইমরুল পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। ক্যারিয়ারের তিন সেঞ্চুরি উপমহাদেশের বাইরের তিন দেশের বিপক্ষে। প্রথমটা নিউজল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ১০১ রান, পরেরটা মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১২ এবং আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ত্রিপানোর শর্ট বল লেগ সাইডে পাঠিয়ে ৯৯ থেকে তিন অঙ্কে পৌঁছান ইমরুল। উদযাপনটাও ছিল দেখার মতো। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পুত্র সন্তানের বাবা হন ইমরুল। সেঞ্চুরির পর হেলমেট খুলে ব্যাট দুই হতে নিয়ে দোল খাওয়ালেন। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, সেঞ্চুরি উৎসর্গ করেছেন পুত্র শোহায়েব বিন কায়েসকে। ৬৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছোঁয়া ইমরুল সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১১৮ বলে। যে ধারাবাহিকতা নিয়ে শুরু করেছিলেন, সেটা ধরে রাখতে পারেননি। কারণটা অবশ্য দলীয় স্বার্থ। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যাটে লাগাম টানতে হয়। ধীর গতিতে ব্যাটিং করে দলীয় ইনিংস মেরামত করতে হয় তাকে। তাতে অবশ্য দুই পক্ষই সফল। ইমরুলের সেঞ্চুরিও হয়েছে। বাংলাদেশের রানের চাকাও ঘুরেছে। তবে একটি পরিসংখ্যান ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে আতঙ্ক ছড়াতে পারে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরির আগে ইমরুল যে দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন, দুটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ! এবার কি ইমরুলের ব্যাটে হাসবে বাংলাদেশ? উত্তরটা জানা যাবে আজ রাতেই। এমএ/ ০৭:০০/ ২১ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2q45jCc
October 22, 2018 at 01:04AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন