সিলেট, ০১ অক্টোবর- বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ড কাপে লাওসের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানের জয়ে আসরের উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ। একমাত্র গোলটি এসেছে বিপলু আহমেদ বিপলুর থেকে। বিপলুর সোনার মতো দামি এ গোলে আসরের সেমিতে এক পা দিয়ে রাখল স্বাগতিকরা। ৩ অক্টোবর শক্তিশালী ফিলিপিন্সের বিপক্ষে লাওস হারলে কিংবা ড্র করলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সেমিতে চলে যাবে জেমি ডের শিষ্যরা। ২৫ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সিলেট জেলা স্টেডিয়াম। প্রায় পুরোটাই ভরে গিয়েছিল সোমবার সন্ধ্যায়। গ্যালারিতে দর্শক-সমর্থক এসেছিলেন একটি আশা নিয়েই। বাংলাদেশের জয়। তাদের আশা পূর্ণ করেছেন লাল-সবুজ ফুটবলাররা। আগের দুই দেখায় একটি করে ড্র ও হার ছিল বাংলাদেশ এবং লাওসের পরিসংখ্যানে। র্যাঙ্কিংয়ে ১৪ ধাপ এগিয়ে থাকা লাওসের বিপক্ষে সাম্প্রতিক অতীতে বাংলাদেশের সুখস্মৃতিও ছিল। মুখোমুখি শেষ ম্যাচটাই ছিল সাহস যোগানোর মতো। চলতি বছরের মার্চে দলটির বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও ২-২ ব্যবধানে ড্র করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরেছিল লাল-সবুজরা। সেই পরিসংখ্যান তো আছেই। সঙ্গে নিজেদের মাঠ আর দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়ামে সোমবার বাংলাদেশের শুরুটা ছিল আক্রমণাত্মক। প্রথম দশ মিনিটে ছোটখাটো কয়েকটি আক্রমণের পর ১১ মিনিটের মাথায় ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবনের দারুণ এক শট লাওস গোলবার ঘেঁষে চলে যায় বাইরে। এসময়ের মধ্যে লাওস যে একবারে পিছিয়ে ছিল তেমনও নয়। ১৮ মিনিটের মধ্যে দলটি দুবার হাতছাড়া করেছে সহজ গোলের সুযোগ। ম্যাচের ২৫ মিনিটে গোল অনেকটা হাতের ফাঁক দিয়ে ফস্কে গেছে বাংলাদেশের। লাওস গোলরক্ষককে সামনে একা পেয়েও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বল মাঠের বাইরে মেরেছেন ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিল। আর ২৯ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে একইভাবে গোলের সুযোগ প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের হাতে বল তুলে নষ্ট করেছেন জীবন। বিরতি থেকে ফিরে গোলটা প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল বাংলাদেশ। ৪৬ মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন সুফিল। এ ফরোয়ার্ডকে হতাশায় রেখে সেই শট জালে না জড়িয়ে বার ঘেঁষে চলে গেছে বাইরে। এরপরও আটকে রাখা যায়নি দুর্দান্ত বাংলাদেশকে। ম্যাচের ৬০ মিনিটে বামপ্রান্ত দিয়ে লাওসের রক্ষণভাগে ঢুকে জোরাল শট নেন জীবন। তার শট গোলরক্ষক ফিস্ট করে ফিরিয়ে দিলেও দ্বিতীয় সুযোগে হেড করেন জীবন। সেই হেডও বারে লেগে ফিরলে বল পান বিপলু আহমেদ বিপলু। গোলবারের ডানকোণা দিয়ে বল জালে জড়িয়ে লাল-সবুজদের উল্লাসে মাতান এ মিডফিল্ডার। গোল ব্যবধান আরও বাড়তো, যদি বদলি খেলোয়াড় মোহাম্মদ ইব্রাহিমের হরিণের মতো ক্ষিপ্র দৌড় না থামিয়ে দিতেন লাওস গোলরক্ষক। শেষদিকে এককভাবে অসাধারণ এক প্রচেষ্টায় যেভাবে ছুটে গিয়েছিলেন ইব্রাহিম, গোলটা হলে কেবল অসাধারণ বিশেষণটি কমই হয়ে যেত! সেটি হয়নি। তাই এক গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। তথ্যসূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন এআর/০৯:১৮/০১ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2zIWi72
October 02, 2018 at 03:19AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top