ঢাকা, ১১ অক্টোবর- এবারের পূজায় জয়া আহসানের আনন্দটা যেন একটু বেশিই। পূজা উপলক্ষে দুই বাংলার জনপ্রিয় এই নায়িকার অভিনীত দেবী বাংলাদেশে এবং এক যে ছিল রাজা পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে। তাই এবারের পূজার সময়টা কাজহীন কাটাতে চান ব্যস্ততম এই অভিনেত্রী। তবে সে সুযোগ আর পাচ্ছেন কই। ছবি দুটির প্রচারে ব্যস্ত থাকতে হবে তাকে। তিনি বলেন, পূজাতে এক যে ছিল রাজার প্রচারের কাজ থাকতে পারে। তাছাড়া পূজা পরিক্রমা, ফিতে কাটা, এসব তো আছেই। কলকাতার মানুষের কাছে পুরনো হলেও আমি তো বছর দুয়েক ধরে এখানকার ঠাকুর দেখছি। মুগ্ধ হয়ে প্রতিটি মণ্ডপ, সেখানকার প্রতিমা দেখি। চোখ দুটো যেন জুড়িয়ে যায়। জয়া বলেন, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ দুর্গাপূজা উদযাপন করছেন। কলকাতার মতো এত বেশি সংখ্যায় না হলেও কয়েকটা পূজা খুব বড় করে হয়। যেমন বনানীর পূজা, ঢাকেশ্বরীর পূজা। ঈদের মতোই দুর্গাপূজাতেও এখন তিন-চারদিন ধরে টিভিতে অনুষ্ঠান হয়। নারায়ণগঞ্জ বয়ন শিল্পের প্রধান কেন্দ্র। ওখানে খুব বড় একটা পূজা হয়। ইচ্ছে আছে, পূজায় দেবীর কাস্ট নিয়ে ওখানে যাওয়ার। পূজা বলতেই জয়া ফিরে যান ছোটবেলার দিনগুলোয়। তিনি বলেন, আমাদের পারিবারিক বন্ধুর বাড়ির পূজায় খুব মজা করতাম। দুই-তিনদিন ধরে হুল্লোড়। আর কখন লুচি-লাবড়া খাব, সেই অপেক্ষা করে থাকতাম। ভারতেশ্বরী হোমসের পূজার স্মৃতিও তার কাছে অমলিন। জয়া বলেন, তখন ক্লাস টু বা থ্রিতে পড়ি। ক্লাস এইট-নাইনের দিদিদের চ্যালা হতাম আমরা। চ্যালা হয়েই সে কী আনন্দ! ক্লাস সিক্স পর্যন্ত আমি খুব ছোটখাটো চেহারার ছিলাম। টেবিলের ওপরে আমাকে বসিয়ে রাখা হতো। ডাকা হতো ফ্লাওয়ার ভাস বলে। সকলে সালোয়ার-কামিজ পরলেও আমার হাফ প্যান্ট পরায় বাধা ছিল না। আর ছোট বলে সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতিও ছিল। সকাল থেকেই দেখতাম মাসিরা ফলারের জোগাড় করছে, ভোগ রান্না হচ্ছে। যাদের চ্যালা হতাম, তাদের হুকুমে রাতের বেলা প্রতিমার সামনের ফল-নাড়ু চুরি করে আনতাম। দিদিরা এত দুষ্টু ছিল, বলত একটা আঙুল ভেঙে রেখে আসবি, যেন মনে হয়, ঠাকুর এসে খেয়ে গিয়েছে। পুরনো যা কিছু, তার প্রতি অমোঘ আকর্ষণ অনুভব করেন জয়া। এক যে ছিল রাজার শুটিংও তার কাছে টাইমমেশিনে চড়ে এক অভিনব জার্নি। তিনি বলেন, ইতিহাস নিয়ে আমার খুব আগ্রহ। জানি না, কেন অ্যাকাউন্টস নিয়ে পড়লাম। কখনও মনে হয়, ভুল সময়ে জন্মেছি আমি। মা-বাবার ব্যবহার করা পারফিউমের শিশির তলানিটুকু পড়ে আছে। সেটাও আমি যত্ন করে রেখে দিয়েছি। ভাওয়াল সন্ন্যাসীর গল্প জয়ার কাছে রূপকথার মতোই। ঢাকার অদূরেই গাজীপুরে ভাওয়ালগড়, শালবনেই এখন বেশির ভাগ ছবির শুটিং হয়। এই ছবির পরে যখন ওই জায়গাগুলোয় গিয়েছি, গল্প আর সত্যি যেন আমার কাছে মিলেমিশে গিয়েছে। বলেন তিনি। এই ছবির ডিকশন ঠিক করার কাজেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন জয়া। তিনি বলেন, যাক, সৃজিত মুখোপাধ্যায় স্বীকার করেছেন সেই কথা। হাসতে হাসতে বললেন, না, ও সেটা করেও অবশ্য। আসলে শিল্পী হিসেবে এটা আমার কর্তব্য। ময়মনসিংহের ভাষা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে, গবেষণা করে ছবির সংলাপের জন্য এই টোনালিটি ঠিক করা হয়েছে, যাতে সব ধরনের দর্শক তা বুঝতে পারেন। সূত্র: আনন্দবাজার আর/১২:৩৪/১১ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2yrrdD0
October 11, 2018 at 07:19PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন