কলকাতা, ১০ অক্টোবর- অক্টোবরের কেন্দ্রায় কমিটির বৈঠকের পর সিপিএম জানিয়েছে, কেরলে আরএসএস এবং বিজেপির সঙ্গে এক লাইনে রাজনাতি করছে কংগ্রেস৷ সিপিএমের বক্তব্য, শবরীমালা মন্দির প্রসঙ্গে বিজেপি এবং কংগ্রেস একই আচরণ করেছে৷ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি আদালতের রায়ের সঙ্গে একমত৷ বয়সের দিকে না তাকিয়ে ওই মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ অবাধ করা উচিত৷ বিজেপি এবং আরএসএস রাজ্যে আদালতের রায়ের বিরোধীতা করছে৷ কংগ্রেস জাতীয়স্তরে ওই রায়কে স্বাগত জানালেও রাজ্যে বিজেপি-আরএসএসের রাস্তাই নিয়েছে৷ এরা সংবিধান বিরোধী প্রচার শুরু করা হয়েছে৷ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির এক প্রবীণ সদস্যের সাফ কথা, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের যা সম্পর্ক তার সঙ্গে কেরলেও কোনও মিল না থাকাটাই স্বাভাবিক৷ কারণ কেরলে তারা বিরোধী৷ কিন্তু শবরীমালা ইস্যুতে তারা বিজেপি-আরএসএসের পাশে দাঁড়াবে তা কল্পনাও করা যায় না৷ এর খেকেই প্রমাণিত এখনও কতটা নির্লজ্জের মতো নিচু রাজনীতি করে কংগ্রেস৷ কেন্দ্রীয় কমিটির বক্তব্য, ত্রিপুরায় সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের ওপর বর্বরচিত অত্যাচার করা হচ্ছে৷ বিজেপি-আইপিএফটি জোট ক্ষমতায় এসে বিরোধীদের ওপর অত্যাচারকেই নীতি বানিয়েছে৷ ৯৬ শতাংশ উপনির্বাচনে ওই জোট বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি৷ এটিই বিজেপি-আরএসএসের আসল মুখ৷ গণতন্ত্রকে এভাবেই গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে ত্রিপুরাতে৷ ত্রিপুরায় পার্টির সহযোগী খবরের কাগজ ডেইলি দেশের কথা-র রেজিট্রেশন বাতিল করে স্বৈরাচারিত্বের পরিচয় দিয়েছে বিজেপি সরকার৷ কেরলের ভয়াল বন্যায় রাজ্য সরকার সাহসী ভূমিকা নিয়েছে৷ কিন্তু দেশ-বিদেশ এবং রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে যাঁরা কেরলের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন তাঁরা প্রশংসার প্রাপক৷ কেন্দ্রীয় কমিটি আরও জানিয়েছে, গুজরাটে অ-গুজরাটি সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ নিন্দনীয়৷ ঠাকোরে সেনারা তাণ্ডব চালাচ্ছে৷ অসমে এনআরসির মাধ্যমে কোনও ভারতীয় যাতে উৎখাত না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে৷ দূর্ভাগ্যজনক যে, এনআরসি কোর্ট দ্বারা স্বীকৃত৷ জনজাতির ওপর কোনও ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে তা দেখতে হবে৷ মোদী সরকার রাফায়েল চুক্তি নিয়ে কেলেঙ্কারী লুকোতে চেষ্টা করেছে অনেক৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পুঁজিপতি বন্ধুর জন্যই যে এই চুক্তি তৈরি হয়েছিল, তা প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে৷ প্রররক্ষা ক্ষেত্রে বেসরকারীকরণের এই যে প্রচেষ্টা, তাও দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক৷ ভোটের জন্য রাজনৈতিক দলগুলি যে ইলেকটোরাল বন্ড নেয়, তার ফলেই ওইসব পুঁজিপতিদের সঙ্গে তাদের অনুগত্য জন্মায়৷ সিপিএমের জম্মু ও কাশ্মীরের বিধায়ক মহম্মদ ইউসুফ তারিগামি 35A ধারা বাতিল করার আবেদন জানিয়েছে৷ ওই ধারাই সংবিধানে Article 370 এর মেরুদণ্ড৷ স্বায়ত্বশাসন আসুক জম্মু ও কাশ্মীরে৷ জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় নির্বাচনে পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং সিপিএম অংশগ্রহণ করে নি৷ কিন্তু রাজ্যপাল ভোট হতে দিয়েছেন৷ ভোটে ভয়ানক গণ্ডোগোল হয়েছে৷ দুই ন্যাশনাল কনফারেন্স কর্মীর মৃত্যু হয়েছে৷ জম্মু ও কাশ্মীরে এই আশান্তিকে ইন্ধন দিয়ে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টা করছে মোদী সরকার৷ দেশের সম্প্রতিক পরিস্থিতি বিচার করলে, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশছোঁয়া দাম, বেকারত্ব, কৃষকের মাথায় হাত এইসবই বাস্তব৷ দেশে দলিত এবং মুসলমানদের ওপর অত্যাচার বেড়েছে৷ এদিকে আমেরিকার Junior Strategic Ally বা ছোটভাই হতে এগিয়ে চলেছে ভারত৷ সেদিক থেকে দেখতে গেলে স্বাধীন বিদেশ নীতিক কোনও লক্ষণ নেই৷ সেক্ষেত্রে ১. বিজেপি-কে হারানো, ২. লোকসভায় সিপিএম এবং বামেদের শক্তি বাড়ানো ৩. কেন্দ্রে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠনের লক্ষে এগিয়ে যেতে হবে৷ তথ্যসূত্র: কলকাতা২৪৭ একে/০৬:০৫/১০ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2NA0Ksj
October 11, 2018 at 12:04AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন