নিউইয়র্ক, ১০ অক্টোবর- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার নিউইয়র্ক সময় ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার সিটি প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গ্রেনেড হামলার রায় ঘোষণার পরপরই এর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সেখানে আনন্দ মিছিল নিয়ে হাজির হয়। শুরুতে নির্দিষ্ট দূরত্বে উভয় দলই স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের দিকে এগিয়ে গেলে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভোররাত ৩টার দিকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণার পরপর জ্যাকসন হাইটসে খাবার বাড়ি রেস্টুরেন্টের সামনে আনন্দ মিছিল বের করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মিষ্টি খাইয়ে আনন্দ-উল্লাস করে। এ সময় রায়ে হতাশা ব্যক্ত করে নেতাদের কেউ কেউ বলেন, গ্রেনেড হামলার রায়ে মূল পরিকল্পনাকারী তারেক রহমানের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিচার বিভাগ যে স্বাধীন এই রায়ে তা আরেকবার প্রমাণ হয়েছে। বক্তরা বলেন, যে যাই বলুক, আওয়ামী লীগ আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা ড. প্রদীপ কর, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, শরীফ আলম হীরা, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মমতাজ শাহনাজ, ডিএম রনেল, মো. সেবুল মিয়া, জয়নাল আবদীন জয় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এদিকে রায় ঘোষণার পরপরই ডাইভারসিটি প্লাজায় জড়ো হয়ে বিক্ষাভ মিছিল ও স্লোগান দেয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে প্রহসনের রায় উল্লেখ করে নেতারা বলেন, এই রায় ইতিহাসের পাতায় কালো অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে। তারা অবিলম্বে তারেক জিয়াকে গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানান। সেই সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ারও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান বক্তারা। বিএনপির বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন মিজানুর রহমান ভুইয়া মিল্টন, কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, মাকসুদ চৌধুরী, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন সবুজ, সৈয়দ আকিকুর রহমান ফারুক, মার্শাল মুরাদ, আমানত হোসেন আমান, আহাদ প্রমুখ। তথ্যসূত্র: যুগান্তর আরএস/ ১০ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2OjJgWA
October 10, 2018 at 11:56PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন