মেক্সিকান ক্লাব দোরাদোস দে সিনালার কোচের দায়িত্বে আছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। সেখানে এক অনুশীলন সেশনের ভিডিও দেখে ম্যারাডোনাভক্তদের চক্ষু চড়কগাছ। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি তো হাঁটতেই পারছেন না! খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ধীরে ধীরে হাঁটছেন। জাদুকরি সেই পা দুটোয় কী তাহলে কোনো সমস্যা? ম্যারাডোনার শল্যচিকিৎসক জার্মান ওচোয়া এ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তার কথাই জানিয়েছেন। তার রোগীর দুই হাঁটুতেই তরুণাস্থি পুরোপুরি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। অস্ত্রোপচার জরুরি। রোগটার নাম অস্টিওআথ্রাইটিসহাড়ের গাঁটের বাত। সংবাদমাধ্যমকে ওচোয়া জানিয়েছেন, ২০০৪ সাল থেকেই ম্যারাডোনা এ রোগে ভুগছেন। কখনো সেভাবে পাত্তা দেননি। কিন্তু রোগটা এখন গুরুতর হয়ে ওঠায় যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্রোপচার করাতে হবে। গত সপ্তাহে দোরাদোস দে সিনালার অনুশীলন মাঠ ছাড়ার সময় হাঁটতে ভীষণ অসুবিধা হচ্ছিল ম্যারাডোনার। বোঝাই যাচ্ছিল, ভীষণ ব্যথা পাচ্ছেন। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরই মুখ খুললেন ওচোয়া, ম্যারাডোনা দুই হাঁটুতেই তীব্র গেঁটে বাতে ভুগছেন। দুই হাঁটুরই তরুণাস্থি ক্ষয়ে গেছে। হাঁটুর দুটি হাড়ে ঘষা লাগছেফেমারের সঙ্গে টিবিয়া ও ফেবুলা। এটা গুরুতর সমস্যা। প্রচণ্ড ব্যথা ও প্রদাহ হয়। হাঁটা ভীষণ অসুবিধাজনক। ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী তারকার হাঁটুর এই রোগের চিকিৎসা প্রসঙ্গে ওচোয়ার ভাষ্য, ম্যারাডোনা নিজেও জানেনসমাধানটা হলো অস্ত্রোপচার। হাঁটুতে কৃত্রিম তরুণাস্থি বসাতে হবে। তা না হলে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে। এটি থামানো সম্ভব না। এ কারণে তাঁর নকল পা প্রয়োজন। ৫৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনা এই অস্ত্রোপচারের জন্য কম বয়সী বলেও মনে করেন কলম্বিয়ান এই চিকিৎসক। কিন্তু অস্ত্রোপচার ছাড়া বিকল্প কোনো রাস্তাও নেই। প্রশ্ন উঠেছে, অবস্থা গুরুতর হলে ম্যারাডোনা কি আর হাঁটতে পারবেন? ওচোয়ার জানালেন, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, সেরকম কোনো ঝুঁকি নেই। প্রযুক্তি এখন অনেক উন্নত। অস্ত্রোপচার করানোই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তবে ডিয়েগোকে এই মুহূর্তে হাঁটাচলার ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। দৌড়াদৌড়ি করা চলবে না। যে পা দুটো দিয়ে খেলোয়াড়ি জীবনে পুরো ফুটবল দুনিয়া মাতিয়েছেন ম্যারাডোনা আজ তার এই বাজে অবস্থা। ভক্তরা দুশ্চিন্তায় পড়লেও ম্যারাডোনা কত দ্রুত অস্ত্রোপচার করাবেন তা নিশ্চিত করতে পারেনি সংবাদমাধ্যম। এএস জানিয়েছে, এখন অস্ত্রোপচারকে নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের জন্য বেশ অসুবিধাজনক বলেই মনে করছেন আর্জেন্টিনার সাবেক এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। কারণ অস্ত্রোপচার করানো মানে সুস্থ হয়ে উঠতে মাঠের বাইরে থাকতে হবে কয়ে কমাস। ম্যারাডোনার মতো ফুটবলপ্রেমীর তা ভালো লাগবে? সূত্র: প্রথম আলো আর/১২:১৪/২০ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2yPvW1r
October 20, 2018 at 07:37PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন