ঢাকা, ০৮ নভেম্বর- অনেক অভিনয়শিল্পীরই শেষ বয়সটা কাটে দুর্দশায়। অবহেলা, বিনা চিকিত্সায় ধুঁকে ধুঁকে মারা যান অনেকে। কেউ কেউ সাহায্যের হাত পাতেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কেন এমন হয়?বেশ আগেই চলচ্চিত্র থেকে সরে এসেছি। যখন দেখলাম মা-ভাবির চরিত্রগুলো ছেঁটে ফেলা হচ্ছে বা গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়া হচ্ছেতখনই বুঝেছিলাম আর হবে না। আমি নিজেও অসুস্থ। হয়তো বড় কোনো রোগে ভুগছি না। তবু প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয়। ডাক্তারের পরামর্শে চলতে হয়। ইন্ডাস্ট্রির কয়জন সেই খবরটা রাখেন? নব্বইয়ের শেষের দিকে আমরা যাঁরা চরিত্রাভিনেতা, তাঁদের মূল্যায়ন দারুণভাবে কমে যায়। শুনেছি অনেকের সঙ্গে বাজে ব্যবহারও করা হয়েছে। এখনকার বেশির ভাগ চরিত্রাভিনেতাকে আমি চিনি না। কোথা থেকে তাঁদের আনা হচ্ছে, কী অভিনয় করছেন তাঁরাকিছুই বুঝি না। অথচ এখনো আনোয়ারা, খালেদা আক্তার কল্পনা, রেহানা জলিরা আছেন। কাজের জন্য তাঁরা মুখিয়েও আছেন। কেন নির্মাতারা তাঁদের নিচ্ছেন না তাও জানি না। আমাদের দেশেই বুঝি এমনটা সম্ভব! বাইরের অন্য দেশের কথা বাদই দিন, কলকাতাতেই নজর দিন। পরিচিত মুখ হলেই শীতে তাঁরা একাধিক শো পায়। লাখ লাখ টাকা আয় করে। অথচ আমরা কি কোনো শো পাই? আগে তাও যাত্রাপালা ছিল, দু-একজন অভিনয় করতেন। এখন তো তাও নেই। শেষ বয়সে সব কাজ করাও সম্ভব হয় না। তাহলে কী করবেন শিল্পীরা? সাহায্যের হাত না পেতে জীবন চালাবেন কী করে? আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যিনিই সাহায্যের আবেদন করেছেন দুহাত ভরে দিয়েছেন। একবার ভেবে দেখুন, তিনি যদি সদয় না হতেন, কী হতো? অকালে প্রাণ হারাতে হতো কত শিল্পীকে? শিল্পীরা সাহায্য নিচ্ছেন এটাকে ছোট করে দেখার কিছু নেই। হেয় না করে বরং তাঁদের সম্মান জানানো উচিত, পাশে দাঁড়ানো উচিত এইচ/১৩:৫২/০৮ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2PTCNSl
November 08, 2018 at 07:53PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন