নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ইলিয়াস আলীকে পরাজিত করে সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার উন্নয়ন আর কর্মীবান্ধব মানসিকতায় গণমানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। দশম সংসদ নির্বাচনেও তার প্রতি আস্থা রাখেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। দলের অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশীকে পেছনে ফেলে আওয়ামী লীগের টিকেট পান শফিক চৌধুরী।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। সেসময় আগুন সন্ত্রাস আর বোমাবাজিতে দেশে হত্যাযজ্ঞ শুরু হলে গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে আবারো নির্দেশ আসে দলীয় সভানেত্রীর। মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হয় শফিক চৌধুরীকে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে মহাজোটের হয়ে নির্বাচন করার সুযোগ পান জাতীয় পার্টির ইয়াহহিয়া চৌধুরী এহিয়া। জানা যায়-এর আগে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নগণ্যসংখ্যক ভোট পেয়েছিলেন এহিয়া। পুরো সংসদীয় এলাকার ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট দেয়ার মতো জনবল ছিলনা তার দল জাতীয় পার্টির। সেখানে ত্রাতা হয়ে দাড়ান শফিক চৌধুরী। মহাজোটের প্রার্থী এহিয়াকে বিজয়ী করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে নামেন তিনি। বিপুলভোটে জয় লাভ করে সংসদে যান এহিয়া।
এরপরেই পাল্টে যায় এহিয়া চৌধুরী ভূমিকা। এলাকার উন্নয়নবিমূখ হয়ে পড়েন জাতীয় পার্টির এই সাংসদ। একইসাথে ভুলে যান সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার নেপথ্যের ইতিহাস।
এলাকার উন্নয়ন আর দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে গত পাঁচ বছর কঠোর পরিশ্রম করেছেন শফিক চৌধুরী। এবারও দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছেন তিনি। দলীয় মনোনয়নের দৌঁড়ে তিনিই সবার আগে রয়েছেন। সিলেট-২ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে আবারো তাকে পেয়ে উজ্জীবিত দলীয় নেতাকর্মীরা।
তবে গিফট হিসেবে পাওয়া পদটি ছাড়তেও চাইছেন না এহিয়া। মহাজোট এবার আর আসনটি জাতীয় পার্টিকে দিচ্ছেন না এমন খবরে নড়েচড়ে বসেছেন তিনি। শফিক চৌধুরীর কাছ থেকে আবারো বাগিয়ে নিতে চাইছেন সিলেট-২।
তার এমন ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। গতবারের সংসদ নির্বাচনে যে ভূমিকা রেখেছিলেন শফিক চৌধুরী সেটি বেমালুম ভুলে গিয়েছেন এহিয়া-এরকম মন্তব্য করলেন বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা। তিনি জানালেন, এহিয়া চৌধুরী উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিদা করে মাত্র চার হাজার ভোট পেয়েছিলেন। তিনিই শফিক চৌধুরীর কারণে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ভোটের পরেই শফিক চৌধুরীর অবদান ভুলে যান এহিয়া। এবার শফিক চৌধুরী আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেক্ষেত্রে এহিয়া কি করবেন সেটা দেখার বিষয়।
দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা অপেক্ষায় রয়েছেন সিলেট-২ আসনের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। শফিকুর রহমান চৌধুরী আবারো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবেন এমন খবরে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরে আবারো চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন তারা। নেতাকর্মীরা এই নির্বাচনী এলাকায় আর কোন জোটকে ছাড় দিতে চান না।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2AcYzXc
November 22, 2018 at 05:57PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন