ঢাকা, ১৪ নভেম্বর- গত কিছুদিন ধরে ব্যাটিংয়ের শুরুটা অস্বস্তিকর হচ্ছে বাংলাদেশের। টপ অর্ডারের ব্যর্থতা যেন রোজকার পরিণতি! শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ইনিংস মেরামত করতে তাই বেশ বেগ পেতে হচ্ছে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের। ঢাকা টেস্টে মিডল অর্ডার ক্লিক করলেও আগের চার টেস্টে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় দলীয় স্কোর দুই শও পেরোতে পারেনি! ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যর্থ। মিডল অর্ডার ভালো করাতেই রক্ষা পেয়েছে, নয়তো আরও একবার শঙ্কায় পড়তে হতো টাইগারদের। সৌভাগ্যই বলতে হবে, চলতি টেস্ট টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার পরও বড় স্কোর গড়তে পেরেছে বাংলাদেশ। এজন্য মুশফিক রহিম, মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহকে কৃতিত্ব দিতে হবে। ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সে ৭ উইকেটে ৫২২ রান করে। এরপর জিম্বাবুয়েকে ফলো অন না করিয়ে চতুর্থ দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তবে নেমে আবারও ব্যর্থ টপ অর্ডার। তামিমের অনুপস্থিতিতে ওপেনিংয়ে খেলছেন লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পুরোপুরি ব্যর্থ তারা। প্রথম ইনিংসে তিন নম্বরে মুমিনুল রান পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে পাননি। সব মিলিয়ে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান আবারও ব্যর্থ। যাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে দুচিন্তা বাড়ছে টিম ম্যানেজমেন্টে। নিজেদের কন্ডিশন, চেনা উইকেট এবং প্রতিপক্ষের অপেক্ষাকৃত দুর্বল বোলিং আক্রমণের পরও রান না পাওয়াটা টপ অর্ডারদের চন্য চরম হতাশার। মূলত নিজেদের ভুল শট নির্বাচন, দুর্বল ফুটওয়ার্ক ও অনিয়ন্ত্রিত শট খেলার প্রবণতায় ব্যর্থ হচ্ছেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। শেষ ২০ ইনিংসে বাংলাদেশের ওপেনিং, দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেটে নেই কোনও সেঞ্চুরি জুটি। ওপেনিংয়ে শেষ ১০ টেস্টে পাঁচ জুটি শুরু করেছেন খেলা। এদের মধ্যে তামিম-ইমরুল ৫ ইনিংসে জুটি বেঁধে সর্বোচ্চ করেছেন ৭২। ইমরুল-লিটনও সমান ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের জুটি গড়তে পেরেছেন। ওপেনিংয়ের মতো দ্বিতীয় উইকেটেও একই দশা। দ্বিতীয় উইকেটে গত ১০ টেস্টে সর্বোচ্চ রানের জুটি ৪৮! টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় বারবার বেগ পেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্য পেতে ব্যাটসম্যানদের রান করা জরুরি। এই জরুরি কাজটুকু শুরুতে না হলে সমস্যায় পড়তে হয় দলকে। অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজও মনে করেন এমনটা, আমাদের টপ অর্ডার কিছুদিন ধরে ব্যর্থ হচ্ছে। তবে ব্যাটসম্যানরা নিজেদের ভুলটা বুঝতে পারছে, কোচের সঙ্গে সবাই কথা বলেছে। আশা করি তারা সামনে ভালো করবে। কেননা টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে নিচের দিকে এর প্রভাব পড়ে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন আর/১১:১৪/১৪ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2K4yKgs
November 15, 2018 at 06:14AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন