ঢাকা, ২৯ নভেম্বর- ঢালিউডের অন্যতম আলোচিত জুঁটি শাকিব-অপু। সম্প্রতি আবার এসেছেন টাইমলাইনে। গুঞ্জন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস আবার এক হচ্ছেন? হঠাৎ এ প্রশ্নটা সামনে আসার কারণও আছে। গত কয়েকদিন ধরে বেশ ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে শাকিব খান আর অপু বিশ্বাসের মধ্যে। সন্তানকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই তারা কথা বলছেন। যাচ্ছেন এখানে-সেখানে। এমনকি প্রথমদিকে অপু বিশ্বাসের ওপর শাকিব খানের যে ক্ষোভ ছিল তাও আর শোনা যায়না। সুযোগ পেলেই অপু বিশ্বাস ও জয়কে সময় দিচ্ছেন কিং খান। শাকিবের এমন পরিবর্তনে বেশ খুশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও। সংবাদ মাধ্যমের খবর, আব্রাহাম খান জয়কে স্কুলে ভর্তি করাতে গত সপ্তাহে শাকিব আর অপু একসঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছেন। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে জয়কে ভর্তি করিয়েছেন তারা। গত চার দিন ধরে জয় জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছে। শাকিব সারাক্ষণ জয়ের খবরাখবর রাখছেন। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে ফোন দিয়ে অপুর কাছ থেকে জয়ের শারীরিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। সময় পেলেই শাকিব জয়ের সঙ্গে কথা বলছেন। সান্ত্বনা দিচ্ছেন জয়কে। জয়ও বাবাকে কাছে পেতে পাপা পাপা বলে কাঁদতে থাকে। শাকিব পুত্রকে দেখতে ছুটে আসছেন। অপু জয়কে নিয়ে ডাক্তারের কাছে দিনরাত ছুটছেন। জয়ের আপডেট জানাচ্ছেন শাকিবকে। এ কথা স্বীকারও করলেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। অপু বলেন, শাকিবের সঙ্গে আমার সম্পর্কের দূরত্ব যতই দীর্ঘ হোক না কেন, জয়ের স্বার্থে এই দূরত্ব সব সময় ঘুচিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। না হলে জয় যখন একসময় বুঝতে শিখবে তখন বাবা-মায়ের ভাঙা সম্পর্ক তার মনকে বিষিয়ে দেবে। তার মানসিকতার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলার স্বপ্ন অধরাই রয়ে যাবে। অপু বিশ্বাস বলেন, এটি আমি যেমন চাই না, তেমনি শাকিবও চান না। তাই জয়ের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমরা দুজন একসঙ্গে তার পাশে থাকছি। শাকিবও পিতা হিসেবে সন্তানের মঙ্গল কামনায় তার সব ধরনের টেক কেয়ার করছেন। এর আগে শাকিব খানও বলেছিলেন, আব্রামের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করবো। খুবই দুষ্টুমি করে। ওর সঙ্গে সময় কাটাতে আমার খুব ভালো লাগে। তবে ওর পড়ার আগ্রহ রয়েছে। তাই তো মাঝে মাঝে ওর সঙ্গে আমিও পড়তে বসে যাই। শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের অনেক শুভাকাঙ্খি বলছেন, জয়ই পারবে ঢালিউডের অন্যতম এই সেরা জুটি, তার মা-বাবাকে আবার এক করে দিতে। বিচ্ছেদের পর শাকিব-অপুর জীবনে আবার মিলনের শানাই বেজে ওঠা এখন কেবলই সময়ের ব্যাপার বলেও মনে করছেন অনেকে। আরএস/ ২৯ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2AAtMDF
November 29, 2018 at 02:52PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন