ঢাকা, ০৯ নভেম্বর- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) বৃহস্পতিবার দুই অনলাইন পোর্টালের সংবাদকর্মীর উপর চড়াও হয়েছেন শীর্ষনায়ক শাকিব খান! এমন অভিযোগ করেছেন দুই সংবাদকর্মী জিয়া উদ্দিন আলম এবং সুদীপ্ত সাইদ খান। তাদের অভিযোগ, শুটিং সেটে শাকিব খান ও সহকারী পরিচালকদের সংগঠন (সিডাব)-এর সদস্যের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। সেই দৃশ্য ভিডিও করায় শাকিব খান ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মুঠোফোনের ধারণকৃত ভিডিও মুছে দিতে চাপ দেন। এমনকি গালমন্দ করেন! গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে শামীম আহমদে রনি পরিচালিত শাহেনশাহ ছবির শুটিংয়ে এমন ঘটনার পর শুক্রবার দুপুরে এফডিসিতে ঘটা অনাকাঙিক্ষত সেই ঘটনা নিয়ে শাকিব খান কথা বলেছেন। ঢাকাই ছবির এই তারকা অভিনেতা জানান, সিডাব থেকে কয়েকজন এসে শুটিংয়ে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল। এর আগে কড়ইতলায় আরেকটা ছবির (বয়ফ্রেন্ড) শুটিং স্পটে গিয়ে মারামারি করেছিল তারা। আরে গুণ্ডা বাহিনী নাকি? যা খুশি তাই করবে? তাদের তো বোঝা উচিত ছিল গতকালের শুটিং সেটে শাকিব খান ছিল। শাকিব খান বলেন, সিডাব থেকে এসে বলে, শুটিং সেট থেকে যাকে (সহকারী পরিচালক) নিয়ে গেছে তার সঙ্গে নাকি কথা বলার জন্য নিয়ে গিয়েছিল। আসলে তারা ছেলেটাকে মারার জন্য নিয়েছিল। আমি অভিভাবক হিসেবে কথা বলেছি। কারণ, আমার শুটিং সেটেই এমন হয়েছে। অন্যকিছুই না। মারামারি কাটাকাটি এসবে যাওয়ার দরকার কী? একসঙ্গে বসে আলাপ করা যায় না? সিডাবের ওরা শিক্ষা পেয়ে গেছে। পরে এসে ভাইয়া বলে মাফ চেয়েছে। এসব করতে করতে সময় চলে গেছে। ক্ষতিটা তো প্রযোজকের হয়েছে নাকি? আর মাত্র দুটো ওয়াইড শট বাকি ছিল। এজন্য আবার একদিন শুটিং করতে হবে। লাখ টাকা ব্যয় হবে। দুই বাংলার এই চিত্রতারকা আরো বলেন, এসব ঘটনা যখন চলছিল তখনই পাশ থেকে দুজন মোবাইলে ভিডিও করছিল। আমাকে প্রডাকশনের ছেলেরা জানায়। তখন আমি বলেছি, ভিডিও যা করেছো এক্ষুণি ডিলিট করো। আমি তো বুঝি এগুলো নিজেদের ব্যক্তিগত ইউটিউব কনটেন্টের জন্য করছিল। রসালো ক্যাপশনে হিট বাড়ানোর জন্য। এসব জাস্ট ফাতরামো। এর আগেও আমার শুটিংয়ে এসে অনেকেই ভিডিও করেছে, শুটিং ফুটেজ, লুক, ড্রেস, সেটের ভিডিও নিয়েছে। রাতে শুটিং থেকে ফেরার পথে গাড়িতে বসে ইউটিউবে গিয়েই দেখতে পাই সেগুলো চলে এসেছে। এতে সাধারণ দর্শকদের মধ্য থেকে ছবি নিয়ে আকর্ষণ কমে যায়। সিনেমার বিষয়টি সহজলভ্য হয়ে যায়। অনেকবার আমি এটা খেয়াল করেছি। অথচ শুটিংস্পট থেকে কোনো কিছুই বিনা অনুমতিতে ক্যাপচার করার নিয়ম নেই।-বলছিলেন শাকিব খান। ভাইজান খ্যাত এই নায়ক আরও বলেন, জিয়া উদ্দিন আলম আমার নামে যে হেনস্তা, লাঞ্ছিত হওয়ার কথা বলছে, তার সঙ্গে আদৌ এমন কিছু কি হয়েছে? আমি তো তাকে দশ বছর ধরে চিনি। আমার শুটিংয়ে আসে দেখি, অনেক অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছে। তাকে তো আমি ছোট ভাইয়ের মতো দেখি। তার সঙ্গে আরেকজন ছিল তার ফেসও কিছুটা চিনি। আমি খেয়াল করেছি বেশিরভাগই ইউটিউব নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এসব সাংবাদিকতা আর ইউটিউবে হিট বাড়ানো এক জিনিস? একযুগ ধরে ঢাকাই চলচ্চিত্র শাসন করা এই নায়ক বলেন, সবসময় এদের ছোটভাই মনে করেছি। একসঙ্গে মেকআপ রুমে, সেটে বসে খেয়েছি, আড্ডা দিয়েছি, মজা করেছি। ছোট ভাই না মনে করলে এগুলো করতাম? অনেকেই এগুলো বোঝে, আবার কেউ কেউ বোঝে না। গতকালকের বিষয়টি নিয়ে যারা ভুল বুঝছে তারা ছোট ভাইয়ের মর্যাদা রাখতে পারিনি। এখন থেকে আমার শুটিং জোনে এসব অ্যালাও হবে না। জিতরা যখন শুটিং করতে আসে তখন কোনো সংবাদকর্মী অ্যালাও থাকে? আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। আমিও যদি এমন করি ভালো লাগবে? সবশেষে শাকিব খান বলেন, কলকাতার চেয়ে বাংলাদেশের ছবিতে সময় দিচ্ছি। ওপারের দুই ছবি ছেড়ে দিয়েছি। এ বছর সিনেমা কটা মুক্তি পেয়েছে খেয়াল আছে? গতবছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। একে তো প্রযোজকরা আসছেন না, তারপরেও যদি এসব গণ্ডগোল লেগে থাকে ইন্ডাস্ট্রির তো সামনে আগাবে না। এমএ/ ০৬:২২/ ০৯ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2PgNnDf
November 10, 2018 at 12:26AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন