ঢাকা, ১২ নভেম্বর- ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ৫২২ রানের পাহাড়ে তুলে দিনটা বাংলাদেশের অনুকূলে এনে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। অপরাজিত ২১৯ রানের ইনিংস খেলার পথে মুশফিক গড়েছেন একাধিক অনন্য রেকর্ড। আর শেষ বেলায় জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ও ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে তুলে নিয়ে টাইগারদের মুখে স্বস্তির হাসি এনে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৭ উইকেট হারিয়ে ৫২২ রানের বিশাল সংগ্রহ করার পর ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর এই রান তাড়া করতে নেমে দিনের শেষ সেশনে ১৮ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে ২৫ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের একমাত্র উইকেটটি তুলে নিয়েছেন বাঁহাতি টাইগার স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ব্যক্তিগত ১৪ রানের মাথায় মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ তুলে দিলে সমাপ্তি ঘটে মাসাকাদজার ইনিংসের। দ্বিতীয় দিন শেষে হাতে ৯ উইকেট নিয়ে ৪৯৭ রানে পিছিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে। এর আগে আজ সোমবার (১২ নভেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের দ্বিতীয় দিনটা পুরোটাই মুশফিকময়। তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের উপর ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এদিন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বিশ্বের প্রথম উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন মুশফিকুর রহিম। ৪০৭ বলে ১৬টি চার ও একটি ছক্কায় এমন কীর্তি গড়েন তিনি। মুশফিকের আগের ডাবল সেঞ্চুরিটি ছিল ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বরাবর ২০০ রানের ইনিংস। আর উইকেটরক্ষক হিসেবে এর আগে মুশফিকসহ একটি করে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমতিয়াজ আহমেদ, তাসলিম আরিফ, ব্র্যান্ডন কুরুপ্পু, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেন্দ্র সিং ধোনি। সাঙ্গাকারা পরবর্তীতে আরও ডাবল সেঞ্চুরি করলেও তখন তিনি উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন না। মুশফিক শেষ পর্যন্ত ৪২১ বলে ১৮টি চার ও একটি ছক্কায় ২১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। অষ্টম উইকেট জুটিতে তিনি মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে ১৪৪ রানের জুটি গড়েন। এদিকে ২১৯ রান করে মুশফিক আবার বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিকও হলেন। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের ২১৭ রানের ইনিংসটি সর্বোচ্চ ছিল। এছাড়া মুশফিক এদিন সর্বোচ্চ বল মোকাবেলাও দেশের হয়ে রেকর্ড গড়েন। আগে যা ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের (৪১৭)। মুশফিকের পাশাপাশি ১০২ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৬৮ রানের অপরাজিত থাকেন মিরাজ। মধ্যাহ্ন বিরতির পর কাইল জারভিসের বলে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১১০ বলে ৩টি চারে ৩৬ করেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তিনি ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৭৩ রান করেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরিফুল হক। কাইল জারভিসের বলে চারিকে ব্যক্তিগত ৪ রানে ক্যাচ দেন তিনি। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট পেলেন জিম্বাবুইয়ান ফাস্ট বোলার। মিরপুর শের ই বাংলায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রান করে টাইগাররা। টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তম সেঞ্চুরির পর ১৬১ রানে বিদায় নেন মুমিনুল। তবে পুরোপুরি টেস্ট মেজাজে খেলতে থাকা মুশফিক ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করে ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে বড় ব্যবধানে জিতে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে রয়েছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। এমএ/ ০৫:৩৩/ ১২ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2B1VXgp
November 12, 2018 at 11:56PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন