বিশ্বনাথে দু-পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ১৫

index-5-364x245বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে একই গ্রামে পৃথক দুটি ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অনন্ত ১৫জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নের বড়তলা গ্রামের আনফর আলী লোকজন ও ছইদুর রহমানের লোকজনের মধ্যে এঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন-আররুপা বেগম, রুশনা বেগম, তছলিমা বেগম, আছকির আলী, শুকুর আলী, জুবেদ মিয়া,আবদুল আজিজ মখন, আবদুল আহাদ, রুবেল মিয়া, চেরাগ আলী, মধ্যস্থকারী শহিদ মিয়া, রাজন আহমদ, জাহিদ আহমদ। এরই মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় আবদুল আজিজ মখন, আররুপা বেগম, আছকির আলী ও শুকুর আলী সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে দুই দফা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিষয়টি আপোষ-মিমাংসায় নিস্পত্তি করার চেষ্ঠা চলছে।

জানাগেছে, উপজেলার অংলকারি ইউনিয়নের বড়তলা গ্রামে প্রায় দুইশত গজের ভিতরে দুটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বড়তলা গ্রামবাসী উদ্যোগে স্থানীয় বড়তলা মাজহারিয়া দাখিল মাদরাসা মাঠে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। একই গ্রামের আনফর আলী তার বাড়ির আঙ্গিনায় ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় থেকে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেন। তার বাড়ির আঙ্গিনায় মাইক ও প্যান্ডেল নির্মাণ করেন। এনিয়ে সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের লোকজন ও মধ্যস্থকারীসহ কমপক্ষে ১৫জন আহত হন।

এব্যাপারে আনফর আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ওয়াজ মাহফিল করে আসছি। গত বছর আমি ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করতে পারেনি। কিন্তু এবছর ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করি। এতে তারা আমাদের বাঁধা প্রদান করে। এর কারন জানতে চাইলে তারা আমাদের ওপর অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হন।

ছইদুর রহমানের বাতিজা শামছুল আলম বলেন, গ্রামবাসীর উদ্যোগে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ওয়াজ মাহফিল পালন করা হয়। এবারও গ্রামবাসীর আয়োজনে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। হঠাৎ করে গতকাল মঙ্গলবার সকালে আনফর আলী তার বাড়িতে ওয়াজ মাহফিল করার জন্য মাইক ও প্যান্ডেল নির্বাশ করে। এতে গ্রামবাসীর পক্ষে এর কারন জানতে চাইলে আনফর আলীসহ বহিরাগতের নিয়ে আমাদের ওপর অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে আমার চাচাসহ কয়েকজন আহত হন।

বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) দুলাল আকন্দ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।



from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2OVH5Uq

November 20, 2018 at 03:24PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top