কলকাতা, ১২ নভেম্বর- ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে যখন একের পর এক জায়গার নাম বদল হচ্ছে, তখন তার আঁচ পড়লো পশ্চিমবঙ্গেও। এ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) পরিচালিত সরস্বতী শিশুমন্দির ও বিদ্যামন্দির স্কুলের বোর্ডে জায়গার নাম বদলে লেখা হয়েছে ঈশ্বরপুর। প্রশ্ন উঠছে, মধ্য শিক্ষা পরিষদ অনুমোদিত কোনো স্কুলে কীভাবে জায়গার নাম বদলাতে পারে? কারণ, স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের বোর্ডে দাবি করেছে, স্কুলগুলি মধ্য শিক্ষা পরিষদ অনুমোদিত। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য অনুমোদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন। কলকাতার আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিএইচপি-র পূর্ব ভারতের সংগঠন সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ইসলাম শব্দটা ঔপনিবেশিক। মুসলিম শাসকদের চাপিয়ে দেওয়া। ঐতিহাসিকভাবে ওই জায়গার নাম ঈশ্বরপুর। তাদের কার্যালয়ের বোর্ডেও ঈশ্বরপুর লেখা। ইতিহাসবিদরা জানাচ্ছেন, ভিএইচপি-র দাবির সারবত্তা নেই। গৌতম ভদ্রের মন্তব্য, এটা হাস্যকর! বস্তুত, ইসলামপুর নামের মধ্যে একটি চমৎকার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন আছে। ইসলাম যেমন আরবি শব্দ, তেমনই পুর একটি বৈদিক শব্দ। এটাই ভারতীয় সংস্কৃতি। ইতিহাসবিদ রজতকান্ত রায়ের বক্তব্য, যে যুক্তিতে পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা করা হয়, ইসলামপুরের নাম বদলের ক্ষেত্রে তা কাজ করে না। এটা এক ধরনের গেরুয়া সন্ত্রাস। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, ভিএইচপি পরিচালিত স্কুল আদৌ পরিষদ অনুমোদিত কি না, তা খবর নিয়ে দেখব। এ ধরনের অনুমতি আমরা দিই না। যদি হয়, তা হলে ব্যবস্থা নেব। এটা বিভেদের রাজনীতি। ইসলামপুরের আদি নাম ঈশ্বরপুর ছিল, এমন তথ্য জানা নেই বলে স্থানীয় বিশিষ্ট মানুষদের দাবি। তাদের প্রশ্ন, মধ্য শিক্ষা পরিষদ অনুমোদিত কোনও স্কুলে এ কাজ করলে সরকার ব্যবস্থা নেবে না কেন? তথ্যসূত্র: পরিবর্তন আরএস/ ১২ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2zNh5W1
November 12, 2018 at 09:47PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন