ঢাকা, ১২ নভেম্বর-মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫২২ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। মাসাকাদজাকে জীবন দিলেন আরিফুল টেস্ট অভিষেকে দ্বিতীয় ওভারে নিজের প্রথম উইকেট পেতে পারতেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। ডানহাতি এই পেসারের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। অফ স্টাম্পের বাইরের বল জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে সহজ ক্যাচ যাচ্ছিল প্রথম স্লিপে। বল মুঠোয় নিতে তৈরি ছিলেন ফিল্ডার মোহাম্মদ মিঠুন। দ্বিতীয় স্লিপ থেকে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ মুঠোয় নেওয়ার চেষ্টা করলেও পারেননি আরিফুল। বেঁচে যান মাসাকাদজা। সে সময়ে ৭ রানে ব্যাট করছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: (প্রথম দিন শেষে ৩০৩/৫) ১৬০ ওভারে ৫২২/৭ ডিক্লে. (মুশফিক ২১৯*, মাহমুদউল্লাহ ৩৬, আরিফুল ৪, মিরাজ ৬৮*; জার্ভিস ২৮-৬-৭১-৫, চাটারা ২২.২-১২-৩৪-১, টিরিপানো ২৪.৪-৬-৬৫-১, রাজা ২২-১-১১১-০, উইলিয়ামস ৩০-৪-৮০-০, মাভুটা ৩১-১-১৩৭-০, মাসাকাদজা ২-০-৭-০) মুশফিকের রেকর্ডের পর ইনিংস ঘোষণা মাহমুদউল্লাহ যেন অপেক্ষা করছিলেন মুশফিকুর রহিমের রেকর্ডের জন্য। টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাকিব আল হাসানের ২১৭ রান এই কিপার ব্যাটসম্যান ছাড়িয়ে যাওয়ার পরেই প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৭ উইকেটে ৫২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটাই তাদের সর্বোচ্চ। আগের সেরা ছিল ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে করা ৫০৩। অধিনায়ক ডেকে নেওয়ার সময় মুশফিক ২১৯ ও মিরাজ ৬৮ রানে ব্যাট করছিলেন। অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেটে দুই জনে যোগ করেন ১৪৪ রান। দুই ব্যাটসম্যানই করেন নিজেদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০ ছিল মুশফিকের আগের সেরা। মিরজের আগের সর্বোচ্চ ছিল ভারতের বিপক্ষে ৫১। চূড়ায় মুশফিক শন উইলিয়ামসকে রিভার্স সুইপে চার মেরে সাকিব আল হাসানকে স্পর্শ; পরের বলে সিঙ্গেলে গেলেন ছাড়িয়ে। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড পুনরুদ্ধার করলেন মুশফিক। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক, ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে। করেছিলেন ঠিক ২০০। ২০১৫ সালে তাকে ছাড়িয়ে তামিম ইকবাল করেন ২০৬। গত বছর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব করেন রেকর্ড গড়া ২১৭। এবার মুশফিক আবার নিজের করে নিলেন রেকর্ড। ইনিংস ঘোষণার সময় অপরাজিত ছিলেন ২১৯ রানে। অষ্টম উইকেটে সেরা জুটি মিরপুর টেস্টে দুটি উইকেটে নিজেদের সেরা জুটি পেল বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে মুমিনুল হককে নিয়ে দেশের সেরা জুটি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে গড়লেন আরেকটি রেকর্ড জুটি। ২০১০ সালে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অষ্টম উইকেটে নাঈম ইসলামের সঙ্গে মুশফিকের ১১৩ রানের জুটি ছিল আগের সেরা। সেই রান ছাড়িয়ে আরও এগিয়ে যাচ্ছেন মুশফিক-মিরাজ। ১৫৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫০৪/৭। সে সময় জুটির রান ১২৬। মুশফিক ২০৯ ও মিরাজ ৬০ রানে ব্যাট করছেন। মুশফিকের ইতিহাস গড়া ডাবল সেঞ্চুরি বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করলেন মুশফিকুর রহিম। ১৯৯ রানে দাঁড়িয়ে লেগ স্পিনার ব্র্যান্ডন মাভুটার একটি ওভার মেডেন খেলেন মুশফিক। সিকান্দার রাজার পরের ওভারে স্ট্রাইক পেয়ে দ্রুত একটি সিঙ্গেল নিয়ে জায়গা করে নেন ইতিহাসের পাতায়। বিশ্বের প্রথম কিপার হিসেবে গড়েন দুটি ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি। ৪০৭ বলে ১৬ চার ও এক ছক্কায় ডাবল সেঞ্চুরিতে যান মুশফিক। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিলেন ২০০ রান। ছক্কায় মিরাজের ফিফটি সিকান্দার রাজাকে বেরিয়ে এসে লং অন দিয়ে ছক্কায় উড়ালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭৮ বলে তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। ক্রিজে আসার পর থেকে আস্থার সঙ্গে ব্যাটিং করছেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। স্পিনের বিপক্ষে দারুণ সাবলীল। পা ব্যবহার করছেন দারুণভাবে। মুশফিক-মিরাজ জুটিতে একশ আস্থার সঙ্গে খেলছেন মুশফিকুর রহিম, তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অষ্টম উইকেটে দুই জনে উপহার দিয়েছেন শতরানের জুটি। ১৫৭ বলে তিন অঙ্কে যায় জুটির রান। ম্যাচে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় তিন অঙ্কের জুটি। ডাবল সেঞ্চুরির দুয়ারে মুশফিক চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে মুশফিকুর রহিম। বিশ্বের প্রথম কিপার হিসেবে টেস্টে দুটি ডাবল সেঞ্চুরির হাতছানি তার সামনে। চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৪৭০/৭। মুশফিক ১৯৫ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৪০ রানে ব্যাট করছেন। অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেটে যোগ করেছেন ৯২ রান। প্রথম সেশনে ৩০ ওভারে ৬২ রান যোগ বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেশনে ৩০ ওভারে তুলেছে ১০৫ রান। লাঞ্চের পর মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল হকের দ্রুত বিদায়ের পর দলকে পথ দেখান মুশফিক ও মিরাজ। দুই জনের ব্যাটে দ্রুত এগোয় স্বাগতিকরা। দীর্ঘতম ইনিংসের রেকর্ড মুশফিকের বাংলাদেশের হয়ে আমিনুল ইসলামের গড়া সময়ের দিক থেকে সবচেয়ে দীর্ঘ ইনিংসের রেকর্ড ভেঙেছেন মুশফিকুর রহিম। ব্র্যান্ডন মাভুটার করা ১৪৭তম ওভারে ব্যাটিং করার সময় এই কিপার ব্যাটসম্যান ক্রিজে ছিলেন ৫৩৬ মিনিট ধরে। ১৭ বছর আগে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে ১৪৫ রান করার পথে ৫৩৫ মিনিট ব্যাটিং করেন আমিনুল। মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন ঘড়িতে বেলা একটা ৫৪ বাজতেই সেই রেকর্ড নতুন করে লেখান মুশফিক। জীবন পেলেন মিরাজ জীবন পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। স্লিপে এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের ক্যাচ ছেড়েছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। সিকান্দার রাজার অফ স্পিনে ঠিক মতো কাট করতে পারেননি মিরাজ। ক্যাচ যায় জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের কাছে। কিন্তু ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি মাসাকাদজা। সে সময় ৩১ রানে ব্যাট করছিলেন মিরাজ। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে মুশফিক-মিরাজ জুটির ফিফটি দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। অষ্টম উইকেট জুটির রান পঞ্চাশ ছুঁয়েছে ৬৪ বলে। সিকান্দার রাজাকে কাভার দিয়ে চার হাঁকানোর পর বেরিয়ে এসে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কায় উড়ান মুশফিক। ম্যাচে এটাই প্রথম ছক্কা। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে জুটিকে নিয়ে যান পঞ্চাশে। বাংলাদেশের চারশ ডোনাল্ড টিরিপানোর ফুলটসে মেহেদী হাসান মিরাজের ফ্লিকে বাউন্ডারি, বাংলাদেশের স্কোর স্পর্শ করল চারশ। টেস্টে এই নিয়ে ১৮ বার চারশর দেখা পেল বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থবার। জার্ভিসের পঞ্চম শিকার আরিফুল সিলেট টেস্টে দারুণ দৃঢ়তা দেখানো আরিফুল হক এবার বেশিক্ষণ টিকলেন না। পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট নিলেন কাইল জার্ভিস। অফ স্টাম্পের বাইরে চ্যানেল ধরে বল করে যাওয়ার আরেকটি পুরস্কার পেলেন জিম্বাবুয়ের এই পেসার। লেংথ বলে আরিফুল যেন পয়েন্টে ক্যাচিং অনুশীলন করান ব্রায়ান চারিকে। বুক উচ্চতার ক্যাচ ধরতে কোনো সমস্যা হয়নি চারির। ১৮ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৪ রান করে ফিরে যান আরিফুল। ৩৭৮ রানে সপ্তম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ। খোঁচা মেরে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ নড়বড়ে হয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস বড় ইনিংস খেলে ঠিক করে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করলেন মাহমুদউল্লাহ। কাইল জার্ভিসের বলে খোঁচা মেরে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে কঠিন সময়টা পার করে উইকেট ছুড়ে এলেন মাহমুদউল্লাহ। জার্ভিসের অফ স্টাম্পের বাইরের বল সহজেই ছেড়ে দিতে পারতেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তা না করে বাড়িয়ে দেন ব্যাট, কানায় লেগে জমা পড়ে রেজিস চাকাভার গ্লাভসে। ১১০ বলে তিন চারে ৩৬ রান করে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ। ভাঙে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তার ৭৩ রানের জুটি। ৩৭২ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান আরিফুল হক। সতর্ক ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ভালো সেশন কোনো ক্ষতি ছাড়া দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন কাটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। পেসারদের বলে সতর্ক ব্যাটিং করা মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ সাবলীল ছিলেন স্পিনে। তাদের দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে স্বাগতিকরা। লাঞ্চে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৩৬৫/৫। মুশফিক ১৩৫ ও মাহমুদউল্লাহ ৩৫ রানে ব্যাট করছেন। প্রথম সেশনে ৩০ ওভারে ৬২ রান যোগ করেছে স্টিভ রোডসের শিষ্যরা। প্রথম ঘণ্টায় ১৪ ওভারে স্বাগতিকরা তুলেছিল ২২ রান, পরের ঘণ্টায় ১৬ ওভারে ৪০ রান যোগ করে বাংলাদেশ। ১১১ রান নিয়ে দিন শুরু মুশফিক প্রথম সেশনে হাঁকিয়েছেন একটি চার। টেস্টে নিজেকে খুঁজে ফেরা মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে তিন বাউন্ডারি। অবিচ্ছিন্ন ৬৬ রানের জুটিতে অগ্রণী বাংলাদেশ অধিনায়ক। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে পঞ্চাশ প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে গড়েছেন অর্ধশত রানের জুটি। ১৫৩ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে দুই ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের জুটির রান। দিনের প্রথম ঘণ্টায় মন্থর ব্যাটিংয়ে এগোনো বাংলাদেশ দ্বিতীয় ঘণ্টায় কিছুটা বাড়িয়েছে রানের গতি। প্রথম ঘণ্টায় মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর দৃঢ়তা দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায় উইকেট থেকে সহায়তা পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের তিন পেসার কাইল জার্ভিস, টেন্ডাই চাটারা ও ডোনাল্ড টিরিপানো। তবে দারুণ সতর্কতায় তাদের সামলেছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। প্রচুর বল ছেড়েছেন দুই ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। আগের দিন সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া মুশফিক প্রথম ঘণ্টায় যোগ করেছেন মাত্র চার রান। টেস্ট দলে নিজের জায়গা ধরে রাখার লড়াইয়ে থাকা মাহমুদউল্লাহ ব্যাট করেছেন আস্থার সঙ্গে। দারুণ এক কাভার ড্রাইভে হাঁকিয়েছেন প্রথম ঘণ্টার একমাত্র বাউন্ডারি। পানি বিরতির সময় ১০৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩২৫/৫। ১৪ ওভারে স্বাগতিকরা যোগ করেছে ২২ রান। মুশফিক ১১৫ ও মাহমুদউল্লাহ ১৫ রানে ব্যাট করছেন। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে গড়েছেন ২৬ রানের জুটি। উইকেটশূন্য প্রথম ঘণ্টায় বড় একটা ধাক্কা খেয়েছে জিম্বাবুয়ে। ওভার অসমাপ্ত রেখে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছেড়েছেন দারুণ বোলিং করা চাটারা। অন্তত চারশ রান চাই বাংলাদেশের সবুজ ঘাস আছে দ্বিতীয় টেস্টের উইকেটে। অসমান বাউন্স ব্যাটসম্যানের জীবন করে তুলতে পারে কঠিন। এমন উইকেটে চারশ ছাড়ানো স্কোর দলকে নিয়ে যেতে পারে খুব ভালো অবস্থানে। দ্বিতীয় দিনে সেই রানে নজর বাংলাদেশের। প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩০৩ রান। মুশফিকুর রহিম ১১১ ও মাহমুদউল্লাহ শূন্য রানে ব্যাট করছেন। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হবে সকাল সাড়ে নয়টায়। প্রথম দিন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুমিনুল হক জানান, ম্যাচে এখন বাংলাদেশ যে অবস্থায় আছে সেখান থেকে চারশ করতে না পারার কোনো কারণ নাই। প্রথম দিনই উইকেট যেভাবে বোলারদের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাতে মুমিনুলের বিশ্বাস, ব্যাটিংয়ে নামলে ভুগতে হবে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদেরও। প্রথম দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ৩০৩/৫ (লিটন ৯, ইমরুল ০, মুমিনুল ১৬১, মিঠুন ০, মুশফিক ১১১*, তাইজুল ৪, মাহমুদউল্লাহ ০*; জার্ভিস ১৯-৫-৪৮-৩, চাটারা ১৮-১০-২৮-১, টিরিপানো ১৫-৩-৩৩-১, রাজা ১২-১-৬৩-০, উইলিয়ামস ৮-০-৩১-০, মাভুটা ১৬-০-৭৯-০, মাসাকাদজা ২-০-৭-০) তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর আরএস/ ১২ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2FlrKgr
November 12, 2018 at 10:19PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন