কাঠমান্ডু, ০৩ নভেম্বর- একটি শিরোপা আর বাংলাদেশ দলের মাঝখানে দূরত্ব শুধু একটা জয়ের। আজ পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই সাফ অনূর্ধ্ব১৫ ছেলেদের শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরবে লাল-সবুজ কিশোরেরা। নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে। জিতলে এটি হবে ছেলেদের বয়সভিত্তিক ফুটবলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় শিরোপা। আগেরটি ২০১৫ সালে সিলেটে অনূর্ধ্ব-১৬ সাফে। অনূর্ধ্ব-১৬ সাফ এখন আর হয় না, গত বছর থেকে এটি হয়ে গেছে অনূর্ধ্ব-১৫। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৫ সাফেই সেমিফাইনালে নেপালের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার আবার যখন শিরোপা জেতার হাতছানি, সুযোগটা মোটেও হাতছাড়া করতে চায় না বাংলাদেশের ছেলেরা। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুই দলই পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত। গ্রুপ পর্বে মালদ্বীপকে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ জনের দল নিয়েও নেপালের সঙ্গে জেতে বাংলাদেশ। নাটকীয় সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে হারিয়েছে ভারতকে। সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে ১২ গোল। আর ভারতকে ২-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা পাকিস্তান পরের দুটি ম্যাচই জিতেছে ৪-০ গোলেগ্রুপে ভুটানের সঙ্গে, আর সেমিতে নেপাল। তবে বাংলাদেশ তাতে টলছে না। কাল নেপাল থেকে কোচ মোস্তফা আনোয়ার পারভেজ বলছিলেন, ছেলেরা একেকটি ম্যাচ ধরে খেলে ফাইনালে উঠেছে। সব কৃতিত্ব ওদের। টানা তিন ম্যাচ জিতে ওরা এখন ভীষণ উজ্জীবিত। আমরা ফাইনালটা ফাইনালের মতো খেলে জিততে চাই। পাকিস্তানের জন্য ফাইনাল একটু অচেনা মঞ্চ। সেই ২০১১ সালে প্রথম অনূর্ধ্ব-১৬ সাফ জেতার সাত বছর পর আবার কোনো বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে পাকিস্তান, অবশ্য মাঝে গত তিন বছর ফিফার নিষেধাজ্ঞায় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে পারেনি। তবে শক্তিতে মোটেও পিছিয়ে নেই দলটা। পরশু সেমিফাইনালে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ের ম্যাচটা মাঠে বসে দেখেছেন বাংলাদেশ কোচ মোস্তফা আনোয়ার পারভেজ। তাঁর উপলব্ধি, পাকিস্তান এই আসরের শক্তিশালী দলগুলোর একটি। বিশেষ করে শারীরিক গঠনে ওরা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। আশা করি, ছেলেরা তাদের সর্বোচ্চ উজাড় করে খেলবে পাকিস্তানের সঙ্গে। বয়সভিত্তিক সাফে দুই দল এর আগে খেলেছে একবার। ২০১১ সালে অনূর্ধ্ব-১৬ সাফের সেমিফাইনালে ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার ভিন্ন ফল আনার প্রত্যয় বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসানের, যেকোনো মূল্যে আমরা এই ম্যাচটি জিততে চাই। দলে কোনো চোট সমস্যা নেই। কিন্তু গত এক সপ্তাহে তিন ম্যাচ খেলে ফুটবলাররা ক্লান্ত। কাল কোচ তাই কোনো অনুশীলন রাখেননি। শুধু হালকা ওয়ার্মআপ আর রিকভারি ট্রেনিং করিয়েছেন। নেপালের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখা প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক মিতুল মারমার আজ একাদশে ফেরার সম্ভাবনা আছে। এর বাইরে বাকি দলটা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বাংলাদেশের না হারার ধারাটাও অপরিবর্তিত থাকবে? সূত্র: প্রথম আলো আর/০৮:১৪/০৩ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2AILarc
November 03, 2018 at 03:48PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন