
জানা গেছে, গত বৃহষ্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের রামধানা (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের লিয়াকত আলীর বাড়ীর সামনে থেকে উত্তরের পল্লীবিদ্যুৎ’র সাব-স্টেশনের সামনে পর্যন্ত এলজিইডি সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশজুড়ে থাকা রেইনট্রি, অর্জুন, কুল, জলপাই, লাটিম ও জারুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোটবড় প্রায় ১৫৭টি গাছ একেবারেই গোড়ায় কর্তন করে পল্লীবিদ্যুৎ বিশ্বনাথ জোনাল অফিস কর্তৃপক্ষ। এসময় লাইনের নীচে না থাকা কিছু গাছও গোড়ায় কর্তন করা হয়। কর্তন করা কিছু গাছ ও গাছের ডালপালা হরিলুট করে লোকজন। এলাকাবাসী এভাবে গাছ কর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও’র অনুমতি সাপেক্ষে এগুলো কর্তন করা হচ্ছে বলে তাদেরকে জানানো হয়।
গতকাল শনিবার দুপুরে স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দেড় শতাধিক গাছ গোড়ায় কর্তন, কিছু গাছ ও ডালপালা পাশের খালে ফেলে রাখা এবং কিছু গাছ ও ডালপালা হরিলুটের সত্যতা পান।
এলাকার অনেকে জানান, সরকার রোপনের পাশাপাশি স্থানীয় রামধানা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড ও রামধানা শাহজালাল ইসলামী পাঠাগার ওই সড়কের পাশজুড়ে এসব গাছগুলো রোপন করেছিল।
রামধানা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’র সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, কর্তন করা গাছগুলো বিদ্যুৎ লাইনের নীচে থাকলে কর্তৃপক্ষ ডালপালা ছাটাই করতে পারত। তাই বলে এতগুলো গাছ গোড়ায় কেটে ফেলতে হবে? কর্তন করা গাছ ও ডালপালা লোকজনকে হরিলুট করতে দিতে হবে? আমরা এ ঘটনায় পল্লীবিদ্যুৎ বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের ডিজিএম, এজিএম ও স্থানীয় সাব-স্টেশনের সিনিয়র ইনচার্জের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছি।
উপজেলা বন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, গাছ কর্তনের ব্যাপারে আমি অবগত নই। তবে, বিদ্যুৎ লাইনের নীচে থাকা গাছের ডালপালা ছাটাই করার কথা। কিন্তু গোড়ায় গাছ কর্তন করতে হবে কেন?
পল্লীবিদ্যুৎ বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের এজিএম নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যুৎ লাইনের নীচে থাকা গাছ গোড়ায় কর্তনের নিয়ম রয়েছে। আমরা কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে কর্তন করা কিছু গাছ ও ডালপালা লোকজন নিয়ে গেছে।
পল্লীবিদ্যুৎ বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের ডিজিএম সামিউল কবির সাংবাদিকদের বলেন, গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা প্রদানের লক্ষ্যেই আমরা বিদ্যুৎ লাইনের নীচে ও আশপাশে থাকা গাছের ডালপালা ছাটাই করে থাকি। তাছাড়া, বিদ্যুৎ লাইনের ১০ ফুটের ভেতরে থাকা গাছ ও ডালপালা কর্তনের নিয়ম রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইব।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2Ddk3X4
November 11, 2018 at 05:39PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.