ঢাকা, ০৩ নভেম্বর- সিলেটে অভিষেক টেস্টের স্মরণীয় মুহূর্তটি রাঙিয়ে দেয়ার দায়িত্ব এবার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাঁধে। সাকিব আল হাসানের চোটের কারণে আরো একবার বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কত্বের গুরুভার যে তার কাঁধে। অধিনায়কত্ব তাই যতটা আনন্দের, ঠিক ততটাই চাপের। সাফল্যের সাধুবাদ পুরোটা না মিললেও, ব্যর্থতার প্রায় সবটাই বর্তায় অধিনায়কের ঘাড়ে। তবে অধিনায়কত্বের চাপে ভেঙে না পড়ে সেটিকেই নিজের পারফরম্যান্স ভালো করার পথে কাজে লাগাতে চান মাহমুদউল্লাহ। পাশাপাশি দলকেও দিতে চান সাফল্য। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের অধিনায়কত্ব, সাকিবের অনুপস্থিতি এবং সিলেটে অভিষেক টেস্ট খেলার বিষয়ে নিজের অনুভূতিসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়কত্ব বাড়তি চাপ দেয় কিনা জানতে চাইলে মাহমুদউল্লাহ বলেন, এটা ঠিক যে, অধিনায়কত্ব আমাকে বাড়তি চ্যালেঞ্জ দেয়। আমাকে প্রভাবিত করে এবং বাড়তি দায়িত্ব এনে দেয় দলের জন্য, নিজের সেরাটা দেয়ার জন্য। অধিনায়কত্ব করি কিংবা না করি, আমার কাছে মনে হয় আমাকে আগে খেলোয়াড় হিসেবে চিন্তা করতে হবে যে, দলকে কীভাবে সার্ভিস দিচ্ছি। এ দায়িত্বটা আসলে উপভোগ করি এবং চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে পছন্দ করি। আমার মনে হয় এটা আমাকে খেলায়ও সাহায্য করে। এ সময় মূল অধিনায়ক সাকিবের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করা কতটা কঠিন জানতে চাইলে মাহমুদউল্লাহ বলেন, প্রথমত বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। কারণ সাকিব আমাদের দলের অপরিহার্য একজন খেলোয়াড়। আশা করছি ও দ্রুত ফিরে আসবে। সহ-অধিনায়ক হওয়ার কারণে এ মুহূর্তে আমার কাঁধে দায়িত্ব। আমি আমার শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করব যেন ইতিবাচক ফল নিয়ে আসতে পারি। ওয়ানডে সিরিজ আমরা জিতেছি এবং সে আত্মবিশ্বাস নিয়েই টেস্ট সিরিজ খেলব। তারপরও প্রতিপক্ষকে তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয়া উচিত। তারা যথেষ্ট ভালো দল। অধিনায়কত্বের চ্যালেঞ্জ থাকলেও, এ ভালো লাগার দিকটিও অস্বীকার করতে চান না মাহমুদউল্লাহ, অধিনায়কত্ব করা প্রত্যেকটি খেলোয়াড়ের জন্য ভালো লাগার একটা বিষয়। এটা একজন খেলোয়াড়কে তার দেশকে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ তৈরি করে দেয়। পাশাপাশি অধিনায়কত্ব একটা দায়িত্বও, এটাও মাথায় রাখতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স মোটেই ভালো নয়। ঘরের মাঠে শ্রীলংকার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েও চূড়ান্ত ব্যর্থ বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে নিজেদের দুর্বল জায়গাগুলো সারিয়ে নিতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা ভালো করতে পারিনি। সামনে ওদের বিপক্ষে আমাদের হোম কন্ডিশনে একটা সিরিজ আছে। আমার মনে হয় এ দুই ম্যাচ আমাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ। সাকিব-তামিমের মতো দেশের দুই সেরা পারফরমারকে ছাড়া একাদশ নির্বাচন করা কঠিন কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে মাহমুদউল্লাহ বলেন, সাকিব থাকলে টিমের ব্যালান্স নিয়ে বেশি চিন্তা করতে হয় না। সাকিব যেহেতু নেই, তাই আমাদের অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান কিংবা বোলার নিয়ে খেলতে হবে। তামিম-সাকিব যেহেতু নেই, তাই সবার জন্যই এটা একটা সুযোগ। সিলেটের অভিষেকে দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চান কিনা, এর জবাবে স্বাগতিক অধিনায়কের ভাষ্য, প্রথম ম্যাচে হয়তো আমরা তেমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা না-ও করতে পারি। আমরা সেরা একাদশ নিয়েই খেলব। কারণ প্রথম ম্যাচটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের মাঠে খেলা। কিন্তু সিলেটের উইকেট নিয়ে, রহস্যের জাল নিয়ে খোলাসা করতে চাননি মাহমুদউল্লাহ, আজ (গতকাল) সকালে উইকেট দেখেছি। আগামীকাল (আজ) সকালেও দেখব। কিছুটা ড্রাই আছে এ মুহূর্তে। মাঝে কিছু ঘাস রয়েছে। তবে এ মুহূর্তে আমরা খুব একটা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। তবে আমরা দুই পেসার, দুই স্পিনার বা তিন স্পিনার ও এক পেসার নিয়েও খেলতে পারি। এখনো নিশ্চিত না, কাল উইকেট দেখে নিশ্চিত হব। সিলেটের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ঘণ্টা বাজিয়ে। ঘণ্টা বাজাবেন আকরাম খান। জয় দিয়েই নতুন এ ভেনুর যাত্রা শুরু করতে আগ্রহী মাহমুদউল্লাহ বলেন, ঘণ্টাটা দেখে ভালো লাগছে। এ জিনিসটা আমরা লর্ডসে দেখি। এটা আমাদের এখানেই হচ্ছে, দেখে ভালো লাগছে। এ ভেনুটা অনেক সুন্দর। আমরা সবাই জয় দিয়ে উদযাপন করতে চাইব। এ টেস্টে দুই লোকাল হিরোকে দেখা যেতে পারে সাদা জার্সিতে। তাদের নিয়ে মাহমুদউল্লাহ, রাহি উইন্ডিজ সফরেও বেশ ভালো পারফর্ম করেছে। আমি মনে করি সে সুযোগ পাওয়ার দাবিদার। আর খালেদ বাংলাদেশের জন্য তরুণ তুর্কি। তার বলে গতি আছে আর সুইংও করাতে পারে। এমইউ/০৯:১৫/০৩ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2AKABnA
November 03, 2018 at 03:14PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন