সিলেট, ০৬ নভেম্বর- বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের প্রথম ম্যাচ দিয়ে অষ্টম ভেন্যু হিসেবে গত ৩ নভেম্বর টেস্ট অভিষেক হয় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। সিলেটের অভিষেককে জয় দিয়ে উদযাপন করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দেশের মাটিতে অভিষেক ভেন্যুগুলোতে বাংলাদেশের অতীত দুঃস্মৃতিগুলো মুছে ফেলতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেটি আর হলো না। সিলেটের অভিষেক টেস্টে ১৫১ রানে হেরে দেশের মাটিতে অভিষেক ভেন্যুতে জয়হীনই থেকে গেল বাংলাদেশ। ২০০০ সালে টেস্ট অভিষেক হয় বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই ম্যাচটি। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সেঞ্চুরির পরও ৯ উইকেটে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। এরপরের বছরই টেস্ট ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ভেন্যু হিসেবে অভিষেক হয় চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওই ম্যাচটি ৮ উইকেটে হেরে যায় টাইগাররা। ২০০১ সালের পর ২০০৬ সালে বাংলাদেশের টেস্ট দিয়ে তিনটি ভেন্যুর অভিষেক হয়। ভেন্যুগুলো হলো- চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ও নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি ৮ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হয় শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে। ওই ম্যাচটি ১০ উইকেটে হেরে যায় টাইগাররা। একই বছরের এপ্রিলে খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। দুর্দান্ত লড়াইয়ের ম্যাচটি ৩ উইকেটে হারে টাইগাররা। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে ক্রিকেট সরিয়ে নিয়ে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে করা হয় হোম অব ক্রিকেট। ২০০৭ সালের মে মাসে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নামে বাংলাদেশ। সেটিই ছিল মিরপুরের প্রথম টেস্ট। ওই ম্যাচটি ইনিংস ও ২৩৯ রানের ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। ২০০৭ সালের পর ২০১২ সালে বাংলাদেশে আরেকটি নতুন টেস্ট ভেন্যুর অভিষেক হয়। সেটি ছিল খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। আগের সাত ভেন্যুর ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ হয়েছিল, সিলেটের ভাগ্যেও একই ফলাফল লেখা হয়ে গেল। দেশের মাটিতে অভিষেকে ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হলো। তথ্যসূত্র: কালের কণ্ঠ আরএস/ ০৬ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2D6UuXr
November 06, 2018 at 11:20PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন