ঢাকা, ৩০ নভেম্বর- এমন ঘটনা কখনও ঘটেছে কি না সন্দেহ। বাংলাদেশ দল কখনও পুরোপুরি পেসার ছাড়া কোনো টেস্ট খেলতে নেমেছে কি না সেটাও বেশ গবেষণার দাবি রাখে। কিংবা বিশ্বে এমন কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশ ছিল কি না, যারা কখনোই কোনো পেসার ছাড়া কোনো টেস্ট খেলতে নেমেছে! ব্যাপারটা শুনতেও কেমন যেন খাপছাড়া খাপছাড়া ব্যাপার মনে হয়। কোথাও যেন অসম্পূর্ণতা থেকে যায়। হয়তোবা উইকেট বানানো হয় পুরোপুরি স্পিন নির্ভর, হয়তো বা সাফল্য সবচেয়ে বেশি পেয়ে থাকেন স্পিনাররাই। তাতেও কেউ কখনও অন্তত একজন পেসার নিয়ে খেলেনি, এমন নজির রয়েছে কি না ক্রিকেট ইতিহাসে সেটাও গবেষণার দাবি রাখে। বাংলাদেশে যে পেসারদের গুরত্ব কমতে কমতে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, তার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট প্রমাণ হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই ঢাকা টেস্ট। যেখানে বাংলাদেশ দল খেলতে নেমেছে পুরোপুরি পেসার ছাড়াই। একজনও পেসার নেই দলে। বোলিং অ্যাটাক সাজানো হয়েছে চারজন স্পেশালিস্ট স্পিনার দিয়ে। চট্টগ্রাম টেস্টেও ছিলেন এই চার স্পিনার। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নাঈম হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তাইজুল ইসলাম। সঙ্গে একমাত্র পেসার ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। যদিও ওই টেস্টে দুই ইনিংস মিলে মাত্র ৪ ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন মোস্তাফিজ। অর্জনের খাতা স্বাভাবিকভাবেই শূন্য। সেখানে আবার চার স্পিনারই দারুণ সাফল্য দেখিয়েছেন। ঢাকা টেস্টে অবশ্য টিম ম্যানেজমেন্টও পড়ে গেছেন কঠিন এক পরীক্ষায়। চট্টগ্রাম টেস্টে পারফর্ম করা চার স্পিনারকে তো দলে রাখতেই হবে। আবার অন্যদিকে ইনজুরিতে পড়ে কিপিং করার কোনো সুযোগ নেই মুশফিকুর রহীমের। যদিও বা তিনি কিপিং করতে যান, তখন যদি ইনজুরিটা মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায়? ঝুঁকি না নিতেই কিপিং করার জন্য একাদশে আনতে হয়েছে লিটন দাসকে। আবার ওপেনিংয়ে নেই ইমরুল কায়েস। ইনজুরি। সে ক্ষেত্রে অভিষেক হলো সাদমান ইসলামের। তাহলে একটি জায়গা তো ছাড়তেই হবে কাউকে না কাউকে। পেসারের গুরুত্ব যখন কম, সুতরাং ছেঁটে ফেলা হোক পেসারকে। এ কারণেই নেই মোস্তাফিজ। নেই কোনো পেসার। যদি বোলিংয়ের সময় অধিনায়কের পেস বোলিং করানোর ইচ্ছা জাগে, তাহলে সেই ঠেকা কাজটা তিনি চালিয়ে নিতে পারবেন সৌম্য সরকারকে দিয়ে। অকেশনাল পেস বোলার যে তিনি! তবে ম্যাচ শুরুর আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, মিরপুরের উইকেটে পেসারদের জন্য কিছু না কিছু থাকে এবং এখানে মোস্তাফিজের মত পেসার সাফল্য পাবেনই। তবে, ম্যাচ শুরুর আগে দলের কম্বিনেশন এবং মাঠের কন্ডিশন- সব বিবেচনায় বাদ পড়তে হলো পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে। যদিও প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে রয়েছেন দুইজন পেসার, কেমার রোচ এবং শেমরন লুইস। বাংলাদেশ দল সাদমান ইসলাম, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম এবং নাঈম হাসান। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/৩০ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2AyIlYH
November 30, 2018 at 08:08PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন