এবার দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা সভাপতির বিরুদ্ধে। জিয়ান্নি ইনফান্তিনো নাকি গোপনে ম্যানচেস্টার সিটি এবং প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) সঙ্গে সমঝোতা করেছিলেন। কিছু ফাঁস হওয়া নথির তদন্তের পর গতকাল শুক্রবার রাতে জানানো হয়, ক্লাব দুটি মধ্যপ্রাচ্যের ধনকুবের মালিকদের সঙ্গে ইনফান্তিনোর যোগসাজসে অর্থনৈতিক ফেয়ার প্লে সংক্রান্ত অবরোধ এড়িয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। উয়েফার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইনফান্তিনো ম্যানচেস্টার সিটি এবং পিএসজিকে নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড়পত্র পেতে সাহায্য করেছেন। অন্যদিকে ফাঁস হওয়া নথি, ইমেইল, যোগাযোগ এবং উপস্থাপনা দেখে জানা গেছে, সিটির সঙ্গে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি, লিভারপুল এবং আর্সেনাল মিলে তিন বছরের মধ্যে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ তৈরির পরিকল্পনা করছিল। ম্যানচেস্টার সিটির পক্ষ থেকে নথিগুলোকে চুরিকৃত ও অসামাঞ্জস্যপূর্ণ দাবি করে জানানো হয়েছে, ক্লাবের সুনাম ধ্বংসের চেষ্টা পূর্বপরিকল্পিত এবং পরিষ্কার। তবে উয়েফা এ নিয়ে মুখ খোলেনি কিছু গোপনীয়তার বাধ্যবাধকতা থাকায়। উয়েফার অর্থনৈতিক ফেয়ার প্লে নিয়ম অনুসারে, ক্লাবগুলোকে ব্যয় এবং লাভের খাত স্পষ্টভাবে দেখানোর কথা বলা হয়েছে। যদিও উয়েফার মতে, ২০১৪ সালের পর ক্লাব দুটি নিয়মের মধ্যেই লেনদেন করেছে। ২০১৪ সালের পর সিটি স্পন্সর থেকে তিন গুণেরও বেশি আয়ের অনুমোদন পেয়েছ উয়েফা থেকে। ফলে বছরে ২০ মিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটির ঝুলিতে। পিএসজির ক্ষেত্রে এই আর্থিক মূল্য কয়েক মিলিয়ন ইউরো। তবে প্রকাশিত রিপোর্টে ইনফান্তিনো কেন দল দুটোকে সাহায্য করেছিলেন, তাঁর কোনো প্রমাণ নেই। তবে কাতারের সঙ্গে পিএসজির যোগাযোগ ইনফান্তিনোর সম্মানহানি করতে পারে, কারণ ২০২২ সালের বিশ্বকাপ কাতারে। ইনফান্তিনোর বিপক্ষে অর্থনৈতিক স্বচ্ছতার ব্যাপারে ক্লাবগুলোর সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করতে দেখা গেছে। আলোচনায় আসা ইউরোপিয়ান সুপার লিগে ১৬টি ক্লাব খেলার কথা ছিল। তবে তালিকায় থাকা আরেক ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ শুক্রবার রাতেই জানিয়েছে, নতুন কোনো লিগে যোগদান করার ইচ্ছে নেই তাদের। এমএ/ ০৯:১১/ ০৩ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ztLKqY
November 04, 2018 at 03:20AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top