ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর- এতদিন বাংলাদেশের বিপক্ষে যাওয়া ভুল আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করত ক্রিকেটপ্রেমীরা। সেট ভারতের সঙ্গেই হোক আর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। কিন্তু বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের এবার ভিন্ন অভিজ্ঞতা হলো। মিরপুর শের-ই-বাংলায় উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ার তানভীর আহমেদের ভুল সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পক্ষে আসে। কিন্তু এতে খুশি হওয়ার বদলে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তাদের বক্তব্য, প্রশ্নবিদ্ধ উপায়ে ম্যাচ জিততে চায় না বাংলাদেশ। ঘটনার শুরু বাংলাদেশের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। ওশান টমাসের করা ওভারটিতে দুটি নো বল ডাকেন আম্পায়ার তানভীর। দুটিই ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। ওভারের পঞ্চম বলটিতে নো ডাকেন আম্পায়ার তানভীর। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, টমাসের সামনের পা দাগের পেছনে ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েট গিয়ে প্রতিবাদ জানান। ফ্রি হিটে পরের বলে ছক্কা মারেন লিটন। পরের বলটি টমাস করেন ওয়াইড। শেষ বলটি নিয়েই শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা। সেই বলটিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা লিটন দাস। কিন্তু আম্পায়ার তানভীর আবারও নো বল ডেকে বসেন! টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায় সেটি নো বল ছিল না। লিটন পরিস্কার আউট। এবার তীব্র প্রতিবাদ শুরু করেন ক্যারিবিয়ানরা। উত্তেজিত হয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় অধিনায়ক ব্র্র্যাথওয়েটকে। এমনকি রিভিউও চান। এরপর সীমানার বাইরে রিজার্ভ আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ, ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোদের সঙ্গে বিতর্কে নামেন ব্র্যাথওয়েট। চলে আসেন সাকিবও। তবে তিনি কিছু বলেননি। শেষ অবধি নো বলের সিদ্ধান্ত ঠিক থাকায় সাকিব হাত দিয়ে ফ্রি হিটের সংকেত দেন। এরপরেও বাজে ব্যাটিংয়ে ৫০ রানে ম্যাচটি হেরে যায় বাংলাদেশ। হাতছাড়া হয় সিরিজ। তার আগে থেকেই বাজে আম্পায়ারিংয়ের সমালোচনায় নামেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সোশ্যাল সাইটগুলোতে বাংলাদেশসহ ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো এমন আম্পায়ারিংয়ের তীব্র প্রতিবাদ করেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও চলে আসে এই রিপোর্ট। ফেসবুকে মনির হোসেন নামের একজন লিখেন, আম্পায়ার মনে হয় ভুলে গেছেন, খেলাটা লাইভ সম্প্রচার হচ্ছে। কিন্তু তার এ ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল সহ পুরো ১৬ কোটি মানুষকে। শফিক আহসান নাদিম লিখেন, আমরা ইন্ডিয়ার মত চুরি করতে শিখে গেছি..আইসিসি এখন আমাদের পক্ষে.... বিশ্বকাপ ঠেকায় কে...! কামাল পাশা লিখেছেন, বাজে আম্পায়ারিংয়ের কারণে দেশের বদনাম হবে। দলের হারের পর সাঈদ হাসান লিখেন, বাজে আম্পায়িংয়ের মাশুল বাংলাদেশ দল দিল। রফিক হাসান লিখেছেন, অসৎ উপায়ে জিততে চাই না; খেলে জিততে চাই। এমন আম্পায়ারিং দেশের ক্রিকেটে কালো দাগ ফেলে দিল। দেশের মান ইজ্জত সব ডুবিয়ে দিল! এমএ/ ১১:৪৪/ ২২ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2QJPaBF
December 23, 2018 at 05:59AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন