ঢাকা, ২২ জানুয়ারি-গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল গানের মানুষ। অসংখ্য কালজয়ী গানের রূপকার তিনি। তার সুর সংগীতে গান গেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন, এন্ড্রু কিশোরের মতো শিল্পীরা পরিণত হয়েছেন। দেশের গান কিংবা সিনেমা গান; কোথাও বুলবুলে জুড়ি ছিল না। দেশ বরেণ্য এই সংগীতজ্ঞ মারা গেছেন আজ (মঙ্গলবার) ভোরে। জীবদ্দশায় হাজার হাজার গান তৈরি করলেও মাত্র একবার অভিনয় করেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। সেটা সিনেমায়, নাম ছিল গুরু ভাই। যেখানে নায়ক ছিলেন নিরব। গুরু ভাই ছবিতে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল অভিনেতা হিসেবে কেমন ছিলেন, কিংবা সে সময়ের কিছু অভিজ্ঞতা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন চিত্রনায়ক নিরব। তার কথাগুলো পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হলো.. ২০০৯ সালের ছবি গুরু ভাই। এটা ছিল আমার অভিনীত দ্বিতীয় ছবি। গুরু ভাই ছবির সবগুলো গান করেছিলেন বুলবুল ভাই। ছবি প্রযোজক সোহেল রানা ভাই কুয়েত প্রবাসী, পরিচালক এ কিউ খোকন চেয়েছিলেন বুলবুল অন্তত একবার অভিনয়ে আসুক। তাই তাকে নেওয়া হয়েছিল। ভাই জীবনে একবার অভিনয় করেছেন, তাও আমার সিনেমায়। গাজীপুরের একটি শুটিং হাউজে আমাদের কাজ শুরু হয়েছিল। দুটো কটেজে আমরা ইউনিটের সবাই উঠেছিলাম। বুলবুল ভাইয়ের কটেজ ছিল পুরোপুরি আলাদা। তার কটেজে যাওয়ার জন্য প্রযোজক আমাকে বার বার বলতো। কিন্তু আমি মনে করতাম, আমি গিয়ে তার সঙ্গে কি বলবো? এত গুণী একজন মানুষের সঙ্গে কথা বলার সাহস ছিল না তখন।একবার সাহস নিয়ে গিয়ে কেমন আছেন জিজ্ঞেস করতে গিয়েছিলাম। আর চেয়েছিলাম বলবো, আমি আপনার অনেক বড় ফ্যান। পাশে গেলে উনিই আমাকে আগে একেবারে নরম সুরে জিজ্ঞেস করেন, নিরব কেমন আছো তুমি? বসো, তোমার সাথে কথা বলি। তার কথা বলার ধরনে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। আমরা কবিতা যেভাবে আবৃত্তি করি, উনি সেভাবেই কথা বলেন। তার কথার মধ্যেই ছন্দ থাকে। একশ শব্দে যদি একটা লাইন হয়, সেটার মধ্যে একটা ছন্দ আছে মনে হয়েছিল। একমিনিট কথা বলবো মনে করে ভয়ে ভয়ে গিয়েছিলাম। পাক্কা ৪০ মিনিট ধরে আলাপ করেছিলাম। তার কথা শুনতেই ভালো লাগছিল। গুরু ভাই ছবিতে উনি ভালো অভিনয় করেছিলেন। তার চরিত্র ছিল মূলত নাটের গুরু। সারাক্ষণ ভায়োলিন বাজান, আর কলকাঠি নাড়েন। সংলাপ ছিল না খুব বেশি। তবে চরিত্রটা ছিল খুব রাশভারী। এছাড়া আমার ক্যারিয়ারে এখনও যে দুটো ছবির গানের কথা আমি সবাইকে বলতে পারি ওগো চাঁদ, ঘুমাও ঘুমাও এই দুটো গানের পরিচালক বুলবুল ভাই। এ গানের কথা সুরগুলো এতো সহজ ছিল মনে হতো আমি যদি আমার কাছের মানুষকে ইমপ্রেস করার জন্য গান করতাম তাহলেই এই সুরই দিতাম। বুলবুল ভাইয়ের সাথে আমার গুরু ভাই ছবির পর ভালো সখ্য গড়ে উঠেছিল। উনি মারা গেছেন শুনে সকালে আচমকা বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে উঠেছিল। তার মতো গানবিজ্ঞ মানুষের চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি ছাড়া কিছু নয়। তার রুহের মাগরিফাত কামনা করি। সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন আর/০৮:১৪/২২ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2RJYTIA
January 23, 2019 at 06:41AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন