ঢাকা, ২২ জানুয়ারি- বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখ কাজী সালাউদ্দিন। খেলোয়াড় হিসবেই তার পরিচিতিটা শুরু। পরে ক্রীড়া সংগঠক। তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশুনের সভাপতি ও সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের ও সভাপতি। আর এই সালাউদ্দিনকে সরাতে ফুটবল বাঁচাতে সালাউদ্দিনকে হটাও স্লোগানে যাত্র করল নতুন কে কমিটি। আগামী বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। বছরখানেক সময় বাকি থাকলেও এখনই দেশের ফুটবলাঙ্গনে নির্বাচনী আমেজ। বছরের শুরুতেই বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের একটি ঘোষণায় নড়েচড়ে বসেছেন সবাই। ফের বাফুফে নির্বাচন করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। যদিও গত নির্বাচনের আগেই সালাউদ্দিন বলেছিলেন, এটি হতে যাচ্ছে তার জন্য শেষ নির্বাচন! কিন্তু সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরে আসতেই ধুন্ধুমার সমালোচনার মুখে পড়েছেন। বিশেষ করে, তার তিন মেয়াদের সভাপতি থাকাকালে অনিয়ম আর ফুটবলে পিছিয়ে পড়ার প্রসঙ্গটা এসে গেছে সামনে। গত নির্বাচনে সালাউদ্দিনকে যারা সঙ্গ দিয়েছিলেন, তাদের বড় একটা অংশ আজ অন্য পক্ষে। তাদের পক্ষ থেকেই দাবি উঠেছে দেশের ফুটবল বাঁচাতে সালাউদ্দিনকে হটাও। দেশের ফুটবলে অনিয়ম দূর করে শৃঙ্খলা ফেরাতে মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে গঠন করা হলো নতুন এক সংগঠন। যার নাম বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন। ঢাকার প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ, সিনিয়র ডিভিশন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ৫৭টি ক্লাবের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গঠিত হয় বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন। নবগঠিত এই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফুটবল সংগঠক তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি মমিনুল হক সাঈদকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও প্রবীণ রাজনীতিক মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, কাজী সালাউদ্দিন যখন বাফুফের নেতৃত্বে আসেন, তখন তাকে ঘিরে আমাদের সবার একরাশ প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা হতাশায় রূপান্তরিত হয়েছে। আমি নবগঠিত এই ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনকে সমর্থন জানাচ্ছি। বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেন বাফুফের সহসভাপতি বাদল রায়। সাবেক এই তারকা ফুটবলার বলেন, ফুটবলাঙ্গনে আর আর্তনাদ শুনতে চাই না। পরিবর্তনের জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস প্রয়োজন। আমরা সেই প্রচেষ্টা শুরু করলাম। আমি বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি সরে গেলেই ফুটবল উন্নয়ন সূচিত হবে। নবগঠিত সংগঠনটির সভাপতি চট্টগ্রাম আবাহনীর কর্মকর্তা তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ফুটবলে বর্তমানে পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলার বড়ই অভাব। ফুটবল উন্নয়নের সকল উপাদান আজ নিম্নমুখী। ফুটবলে নেমে এসেছে একরাশ অন্ধকার। এই ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে ফুটবলের পরিবর্তনের ধারা শুরু হলো। বাংলাদেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে আমরা বদ্ধপরিকর। তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন তার প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ দলগুলোর জন্য পাঁচ লাখ, সিনিয়র ডিভিশনের জন্য সাড়ে তিন লাখ, দ্বিতীয় বিভাগ আড়াই লাখ ও তৃতীয় বিভাগে দুই লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং নবগঠিত বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি নিয়ে কক্সবাজারে একটি ফুটবল মহাসম্মেলন করার ঘোষণা দেন রুহুল আমিন। অনুষ্ঠানে ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মোজাফফর হোসেন পল্টু, বাফুফের সহসভাপতি বাদল রায়, বাফুফের সদস্য ফজলুর রহমান বাবুল, সাবেক জাতীয় ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, আব্দুল গাফফার, ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টু, বাফুফের সাবেক সভাপতি এস এ সুলতানসহ ফুটবল অঙ্গনের অনেকেই। ক্লাব প্রতিনিধিদের মিলনমেলায় উঠে আসে ফুটবলে পরিবর্তনের ডাক। আর সেই পরিবর্তনের সূচনাতেই সালাউদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তরফদার শুরু করলেন নতুন এই মিশন! সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ এমএ/ ১১:৫৫/ ২২জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2REn5vX
January 23, 2019 at 06:21AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন