ঢাকা, ২৫ জানুয়ারি- সুরকার-গীতিকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সংগীতশিল্পী কবীর সুমন বলেছেন, সত্যিকার এক গুণী সুরকার শিল্পীকে হারিয়েছে পৃথিবী, তার মৃত্যুতে আধুনিক গানের দুনিয়ায় তিনি একা হয়ে গেছেন। সব কটা জানালা খুলে দাও না, ও মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে, সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্যর মতো জনপ্রিয় বহু গানের সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল গত বৃহস্পতিবার মারা যান। পরদিন এক ফেইসবুক পোস্টে শোকগাঁথায় দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী কবীর সুমন লিখেছেন, আমার সময়ের এক সেরা বাঙালি সুরকার বাংলাদেশের আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল চলে গেলেন। কবীর সুমন লিখেছেন, বুলবুলের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু আধুনিক বাংলা গানের সুরকার ও শিল্পী হিসেবে তিনি তো দীর্ঘকাল আমার মনের প্রতিবেশী। সত্যিকার এক গুণী সুরকার শিল্পীকে হারাল পৃথিবী। আমার আধুনিক গানের দুনিয়ায় আমি আরও একা হয়ে গেলাম। একই মহল্লার বাসিন্দা ছিলাম যে আমরা! আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের কাজের মূল্যায়ন নিয়ে তিনি লিখেছেন, পশ্চিম বাংলার অনেকে তাকে সহজেই চিনবেন সবকটা জানলা খুলে দাও না গানটির সুরকার হিসেবে। তিনি গান লিখতেন কি না ঠিক জানি না। তবে নানা স্মরণীয় গানের সুরকার যে তিনি তা জানি বিলক্ষণ। তার একটি হল- সেই রেল লাইনের ধারে, মাঝি নাও ছাড়িয়া দে গানটিও কি তার সুর? বুড়ো মাথার বুড়ো স্মৃতি আর টানতে পারছে না। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আধুনিক বাংলা গানের সনাতন ঘরানার সুরকার ছিলেন। এই গানের সুরতাল ছন্দ-বাঁধুনির ঐতিহ্যে তার মন ছিল সম্পৃক্ত। তেমনি, গানের সুর করার পাশাপাশি যন্ত্রাণুষঙ্গ রচনা নিয়ে তিনি উল্লেখযোগ্য কাজ করে গিয়েছেন। বাংলাদেশের একাধিক নবীন সুরকারের ওপর তার প্রভাব লক্ষ করা যায়। আহেমদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সঙ্গে একবারই দেখা হয়েছিল কবীর সুমনের। সেই কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, তার সঙ্গে একবারই দেখা হয়েছিল আমার ঢাকায়। অনেক বছর আগে। সদালাপী, পরিহাসপ্রিয়, শিষ্টাচারী মানুষ, বিনয়ী। কয়েক মিনিটেই বুঝেছিলাম বন্ধুবৎসল। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সুন্দর, মননশীলতাপূর্ণ ও প্রাণবন্ত সৃষ্টি তাকে অমর করে রাখল। এমএ/ ১০:৪৪/ ২৫ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2WhiOwZ
January 26, 2019 at 04:57AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন