কলকাতা, ১৯ ফেব্রুয়ারি- বিহারে ধাক্কা। বাংলায় মুখ বাঁচানোর চেষ্টা। দ্বারভাঙার বিজেপি সাংসদ কীর্তি আজাদকে যে দিন তেরঙা উত্তরীয় পরিয়ে দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী, ঠিক সে দিনই এককালের জনপ্রিয় বলিউড তারকা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দলে টানল বিজেপি। একই সঙ্গে যোগদান করানো হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডাকেও। দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সদর দফতরে গিয়ে এ দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি-তে যোগ দিলেন বিশ্বজিৎ ও শঙ্কুদেব। বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দলের রাষ্ট্রীয় কার্যকারিণীর সদস্য মুকুল রায় এবং দলের জাতীয় মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্রের উপস্থিতিতে এ দিন বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন ওই দুজন। সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁদের গেরুয়া উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয় এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ দিয়ে বিজেপিতে স্বাগত জানানো হয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডার সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে কোনও সম্পর্ক ছিল না তৃণমূলের। সারদা কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। পরে নারদ ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল শঙ্কুকে।যদিও আনন্দবাজার সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি। কেন্দ্রীয় সংস্থার জেরার মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। তার পরেই তৃণমূল সম্পর্ক ছিন্ন করে শঙ্কুর সঙ্গে। তৃণমূল ভবনে তাঁর প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তার পর থেকে বেশ কয়েক বছর সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন না তিনি। মুকুল রায়ের হাত ধরে ফের শঙ্কু রাজনীতির ময়দানে ফিরলেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বজিতের বিজেপি-তে যোগদানের নেপথ্যেও মুকুল রায়। চলতি মাসের যে সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে ছিলেন, সেই সময়েই মুকুল রায়ের দিল্লির বাংলোয় ঢুকতে দেখা গিয়েছিল বিশ্বজিৎকে। গত লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির একটি আসন থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। সেই বিশ্বজিতকে মুকুলের বাংলোয় ঢুকতে দেখা যাওয়ার পর থেকেই দলবদলের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই জল্পনাকে সত্যি প্রমাণ করে সোমবার বিজেপি-তে ঢুকলেন তিনি। এমএ/ ০২:২২/ ১৯ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2BGYFYC
February 19, 2019 at 08:37AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন