কলকাতা, ০২ ফেব্রুয়ারি- মৌসম বেনজির নূর তৃণমূলে যোগদান করায় শূন্য হয়েছে মালদহ জেলা কংগ্রেসের সভাপতির আসন। এই পরিস্থিতিতে আজ নতুন সভাপতি নির্বাচনে বসে জেলা কংগ্রেস। সর্ব সম্মতিক্রমে আবু হাসেম খান চৌধুরীকে সভাপতি হিসেবে মেনে নেন কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মৌসমের বিরুদ্ধে দাদা ইশা খান চৌধুরীকে প্রার্থী করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। এবার জেলা কংগ্রেসের রাসও নিজেদের হাতে রাখতে চেয়েছিল মালদহের কোতয়ালি ভবন। তবে জেলা কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে ইশা খান চৌধুরীকে বসাতে আগ্রহী ছিলেন তার বাবা আবু হোসেন খান চৌধুরী। যদিও জেলা কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে ইশা খান চৌধুরীকে কতটা মেনে নেবে জেলার অন্যান্য কংগ্রেস বিধায়ক ও প্রথম সারির নেতারা এই নিয়ে শুরু হয়েছিল গুঞ্জন। তাই কোনও বিতর্কে না গিয়ে আবু হাসেম খান চৌধুরিকেই বেছে নেওয়া হয়৷ এর আগে বলা হয়েছিল, ইশা খান চৌধুরী রাজনীতিতে মৌসম নুরের থেকে অনেকটাই নবীন। ফলে মানুষের গতিবেগ বুঝতে হয়তো তার একটু অসুবিধা হবে। যে উত্তর মালদহ কেন্দ্রে তাকে প্রার্থী করা হয়েছে, সেখানেই বরাবরই কোতয়ালি ভবনের প্রভাব কম। উত্তর মালদহের রতুয়া, চাঁচোল, হরিশ্চন্দ্রপুর, মালতিপুর এই এলাকাগুলিতে প্রভাব থেকেছে একসময় গোলাম ইয়াজদানীর মত কংগ্রেস নেতাদের। পরবর্তীকালে এই এলাকায় প্রভাব ছিল প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির। বর্তমানে গোলাম ইয়াজদানী ছেলে অল বিরুনি জুলকারনাইন মালতিপুর কেন্দ্রের কংগ্রেসের বিধায়ক। তারও ওই এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই কংগ্রেসের যুব নেতৃত্বের অন্যতম মুখ তিনি। তাঁকেও সভাপতি করার কথা ভাবা হচ্ছিল৷ অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বিধায়ক মুস্তাক আলম দীর্ঘদিনের কংগ্রেসের নেতা। এই নিয়ে তিনি দুবার বিধায়ক, বেশ কয়েকবার জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এইরকম রাজনৈতিক অভিজ্ঞ নেতারা কতটা ইশা খান চৌধুরীকে মেনে নিত, তা নিয়ে ধন্দ্ব ছিল৷ কারণ মৌসম বেনজির নূর উত্তর মালদা থেকে দুবার নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন। কোতয়ালি ভবনের পাশাপাশি তিনি একটি নিজস্ব সংগঠন তৈরি করেছিলেন ওই এলাকাতে। তার তৃণমূলের যাওয়ার সাথে সাথে সেই সংগঠনের নেতৃত্বরাও ধীরে ধীরে তৃণমূলের দিকে পা বাড়াচ্ছে। বাকি যারা রয়েছে তারা অনেকেই চায় এবার যাতে কোতুয়ালি ভবনের বাইরে থেকে সভাপতি করা হয়। পরিবারতন্ত্র থেকে যেন বাইরে বেরিয়ে আসে কংগ্রেস। কিন্তু জেলা কংগ্রেসের হাল নিজের হাতেই রাখতে চেয়েছিলেন কোতয়ালি ভবনের সদস্যরা। দক্ষিণ মালদহের সাংসদ তথা বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরী বল ছিলেন, মৌসম নুরকে পর পর দুবার সাংসদ নির্বাচিত করেছে কংগ্রেস। তাকে রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছিল। পরে তাকে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়। সে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছে। সে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া তার ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমাদের কোতয়ালি বাড়ি হল প্রয়াত গনি খান চৌধুরীর বাড়ি, কংগ্রেসের বাড়ি। মৌসম কংগ্রেসে অতীত। কংগ্রেস একটা গণতান্ত্রিক দল। সবার সাথে আলোচনা করেই সভাপতি নির্বাচন করা হবে। তবে ইশা খান চৌধুরী যদি সভাপতি হয় আশা করছি সে ভালোভাবেই দায়িত্ব সামলাতে পারবে। এরই প্রেক্ষিতে মালতিপুরের বিধায়ক অল বিরুনি জুলকারনাইনের বল ছিলেনন কোন ব্যক্তি বা নাম দিয়ে তো আর সংগঠন চলে না। এখন কংগ্রেসের অসময় চলছে। এই সময় কংগ্রেসকে ধরে রাখতে গেলে দক্ষ সংগঠককে এই সভাপতির দায়িত্ব দিতে হবে। হরিশ্চন্দ্রপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মুস্তাক আলম বলেন, কোন ব্যক্তির নাম দিয়ে নয় সভাপতি নির্বাচন হওয়া উচিত গণতান্ত্রিকভাবে যোগ্যতার বিচারে। এমএ/ ০২ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2HNxhxE
February 03, 2019 at 02:34AM
02 Feb 2019

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top