ঢাকা, ০১ ফেব্রুয়ারি- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হারাতে পারলেই প্লে-অফে চলে যেত ঢাকা ডায়নামাইটস। শেষ পর্যন্ত পারল না সাকিব বাহিনী। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ১ রানে হেরে গেল তারা। ডায়নামাইটসদের হারে সুপার ফোরে খেলার আশা বেঁচে রইল রাজশাহী কিংসের। ১২ ম্যাচে ৬টি করে জয়-পরাজয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে রাজশাহী কিংস। কুমিল্লার বিপক্ষে হারায় ঢাকার পয়েন্ট দাঁড়ালো ১১ ম্যাচে ১২। এতেই মিরাজ বাহিনীর আশা জিইয়ে থাকল। আশা থাকল রাজধানীর দলটিরও। আরও একটি ম্যাচ হাতে আছে ঢাকার। এজন্য আসছে ম্যাচে জিততেই হবে তাদের। জয় ভিন্ন কিছু হলে শেষ চারের টিকিট পেয়ে যাবে বরেন্দ্রভূমির দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভূমিকাতেই হোঁচট খায় ঢাকা। মেহেদী হাসানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন উপুল থারাঙ্গা।পর পরই মিজানুর রহমানকে তুলে নিয়ে ধাক্কা দেন মোশাররফ হোসেন। এর জের না কাটতেই রনি তালুকদারকে সরাসরি বোল্ড করে চাপে ফেলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এর মধ্যে সাকিব আল হাসানকে বোল্ড করে ফিরিয়ে চাপটা দ্বিগুণ করেন মেহেদি। পরে কাইরন পোলার্ডকে নিয়ে খেলা ধরেন সুনিল নারাইন।প্রথমে ধীর-লয়ে হাঁটেন তারা। ক্রিজে সেট হলে ছোটাতে শুরু করেন স্ট্রোকের ফুলঝুরি। এতেই ঘটে বিপত্তি। শহীদ আফ্রিদির বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ওয়াহাব রিয়াজের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ২৪ বলে ২ চারে সংগ্রামী ২২ রান করেন এ ক্যারিবিয়ান। নারাইন ফিরলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান কাইরন পোলার্ড। ফলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ঢাকা। কিন্তু মুহূর্তেই সেই স্বপ্নে বিশাল ধাক্কা দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পরপর দুই বলে সেট ব্যাটসম্যান পোলার্ড ও নুরুল হাসানকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এবার জয়ের সম্ভাবনা দেখা দেয় কুমিল্লার। তবে ভরসা হয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। ঢাকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা। সূচনাটা হয় দুরন্ত। উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও এভিন লুইস। ৩৮ রানে লুইসকে সরাসরি বোল্ড করে ঢাকাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সুনিল নারাইন। এরপরই পথ হারায় ভিক্টোরিয়ানসরা। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ফেরেন আনামুল হক। রুবেল হোসেনের শিকার হওয়ার আগে রানের খাতায় খুলতে পারেননি তিনি। খানিক পরই শুভাগত হোমের বলে রুবেল হোসেনের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন দারুণ খেলতে থাকা তামিম ইকবাল। সাজঘরে ফেরত আসার আগে ড্যাশিং ওপেনার খেলেন ২০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রানের নান্দনিক ইনিংস। তামিমের বিদায়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা। এর মধ্যে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ইনফর্ম শামসুর রহমান। সাকিব আল হাসানের এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। পরে অধিনায়কোচিত কিছু করে দেখাতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। দুই অধিনায়কের লড়াইয়ে হার মানেন তিনি। ঢাকা অধিনায়কের বলে আন্দ্রে রাসেলকে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুমিল্লা অধিনায়ক। ফলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দলটি। এতে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ের আভাস দেন শহীদ আফ্রিদি। তবে খুব বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ১৭ বলে ১ চারে ব্যক্তিগত ১৮ রান করে নারাইনের শিকার হন তিনি। তারপর সেই বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি কুমিল্লা। শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানে গুঁড়িয়ে যায় তারা। আফ্রিদির পর রানআউটে কাটা পড়ে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন। সেই রেশ না কাটতেই রুবেল হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন থিসারা পেরেরা। অল্পক্ষণ পর তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে রুবেলের বলে উপুল থারাঙ্গাকে ক্যাচ দিয়ে আসেন ওয়াহাব রিয়াজ। ধারাবাহিক বিরতিতে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন মেহেদী হাসান। তার শিকারীও রুবেল, স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রানের ক্যামিও খেলেন মেহেদী। মূলত শেষদিকে তার ২০ ও রিয়াজের ১৬ রানে ১২৭ রানের পুঁজি পায় কুমিল্লা। ঢাকার হয়ে রুবেল একাই নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট ঝুলিতে ভরে তাকে সমর্থন জোগান নারাইন ও সাকিব। এমএ/ ০৬:০০/ ০১ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2SpJpZW
February 02, 2019 at 12:04AM
01 Feb 2019

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top