কলকাতা, ২২ ফেব্রুয়ারি- ধানের সহায়ক মূল্যে নিয়ে কয়েক শকোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য় বিজেপি দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই গুরুতর অভিযোগ আনলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা থাকলে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাহুল। কৃষি প্রতারনার অভিযোগের তদন্তে যাতে সিবিআই তদন্ত হয় তার জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের চার জেলায় রাস্তায় নামছে বিজেপি। এদিন এই কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন রাহুল সিনহা। বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা-র অভিযোগ, ধানের সহায়ক মূল্য নিয়ে বছরের পর বছর রাজ্য জুড়ে এক বিশাল দুর্নীতি চলছে। আর এই দুর্নীতির তিনটে মাথা রয়েছে। একদিকে কো-অপারেটিভ। তারসঙ্গে যুক্ত হয়েছে চালকলগুলি এবং অবশ্যই খাদ্য দফতরের কেষ্ট-বিষ্টুরা। রাহুল সিনহার মতে ধানের সহায়ক মূল্য নিয়ে এই কৃষি প্রতারণার অঙ্কটা কয়েক শকোটি টাকা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ আনার সঙ্গে সঙ্গে রাহুল এদিন টেনে আনেন অনিকেত ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড-এর দুই কর্তার গ্রেফতারির প্রসঙ্গ। তিনি দাবি করেন , জেলে থাকা এই সংস্থার দুই কর্তাকে জিজ্ঞেস করলেই সব বেরিয়ে আসবে। রাহুল সিনহা দাবি করেন, ইতিমধ্যেই জোমজুড় থানার পুলিশ ধানের সহায়ক মূল্য নিয়ে জালিয়াতির তদন্তে অন্তত ৮০০টি ভুয়ো ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে একাধিক চেকবই। যারমাধ্যমে এই দুর্নীতি করা হত। পুলিশি তদন্তে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ২৬২টি ডেবিট কার্ডও পুলিশ আটক করেছে বলে জানান রাহুল সিনহা। এই সমস্ত ডেবিট কার্ড দিয়ে দিনের পর দিন অর্থ এক অ্যাকাউন্ট থেকে পাচার হয়ে অন্য অ্য়াকাউন্টে গিয়েছে বলেও অভিযোগ। রাহুল সিনহার দাবি, ধানের সহায়ক মূল্য দেওয়ার সময় চাষিদের ধরানো হচ্ছে কুইন্টাল প্রতি ১২৫০ টাকা। সেখানে খাতায় লেখা হচ্ছে ১৭৫০টাকা এবং চাষিদের জোর করে এই সংখ্যার পাশে সই করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এভাবেই ৪০০ টাকা করে জালিয়াতি হচ্ছে। এই জালিয়াতির অঙ্ক জোড়়া লাগালে তা কতটা বড় অঙ্ক হতে পারে তা অনুমান করার কথাও বলেন রাহুল সিনহা। গোটা বিষয়ে খাদ্য দফতরের কর্তারাও জড়িত বলে অভিযোগ রাহুল সিনহার। তাঁর মতে, ধানের সহায়ক মূল্য নিয়েই শুধু যে প্রতারণা থেমে রয়েছে তা নয়, এই তিন-মাথার মিলিত যোগসাজোশে যে কৃষি প্রতারণা বছরের পর বছর ঘটে আসতে তাতে খারাপ মানের চালকে কৌশলে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে খাদ্য দফতরের গুদামে। আর সেই গুদামঘরে মজুত খারাপ চাল কখনও পৌঁছে যাচ্ছে স্কুলে স্কুলে মিড ডে মিলের খাবার হিসাবে আবার কখনও তা চলে যাচ্ছে রেশনের দোকানে। আর চাষিরা যে ভালো মানের ধান জমা করছেন তা চলে যাচ্ছে কালোবাজারে।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2XbkvwB
February 22, 2019 at 08:02AM
Home
»
ওপার বাংলা
» কয়েক শকোটি টাকার কৃষি প্রতারণায় জড়িত মমতার সরকার! রাহুল সিনহার অভিযোগে চাঞ্চল্য
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
মাওবাদী হানায় মৃত তথা নিখোঁজ ৪ জনের পরিবারকে নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
07 Oct 20200টিকলকাতা, ৭ অক্টোবর- কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারের ঘোষণা মতোই ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক সভা থেকে মাও...আরও পড়ুন »
ডেমোক্রেসির বদলে বাংলায় মমতাক্রেসি চলছে
06 Oct 20200টিকলকাতা, ৬ অক্টোবর- বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়...আরও পড়ুন »
বিজেপি নেতা মণীশ খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ
06 Oct 20200টিকলকাতা, ০৬ অক্টোবর- বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি ব...আরও পড়ুন »
বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র বারাকপুর
05 Oct 20200টিকলকাতা, ৫ অক্টোবর- অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপির দাপুটে নেতা মণীশ শুক্লাকে খুনের ঘটনায় সোমবার সকাল থেক...আরও পড়ুন »
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
05 Oct 20200টিকলকাতা, ৫ অক্টোবর- পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরের মণীশ শুক্লা নামে এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে ...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.