নয়াদিল্লী, ২৪ ফেব্রুয়ারি- ভারতীয় জওয়ানদের ওপর কাপুরুষোচিত, আত্মঘাতী গামলার ঘটনায় গোটা ভারত স্তম্ভিত, শোকার্ত।ভারতের দাবি এমনটা পাকিস্তানের ইন্দনেই হয়েছে।তবে ইসলামাবাদ থেকে বরাবরই না বলা হয়ছে।এরপর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ আছড়ে পড়ে ক্রীড়াঙ্গনে।ভারত থেকে দাবি তোলা হয়, পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে না খেলার।এরপর থেকে আবেগের অদ্ভুত এক নাগরদোলায় দুলছেন সবাই! যা আগে কখনও হয়নি। কারণ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা বন্ধ হোক, ক্রীড়া মহল থেকেই মূলত দাবি উঠেছিল। যা ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। দুই দিন আগে পাকিস্তানের দুই শুটারের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার কথা ছিল, তাদের ভিসা দেয়নি ভারত। যার জেরে আন্তর্জাতিক শুটিং ফেডারেশন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে ভারতকে বড় কোনও প্রতিযোগিতার আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হবে না, যদি এরকম ঘটনা ঘটবে না বলে জানিয়ে ভারত সরকার লিখিত বয়ান দেয় আন্তর্জাাতিক অলিম্পিক সংস্থাকে। তবে এরপর থেকে ভারত তাদের নীতি থেকে অনেকটা সরে দাঁড়িয়েছে।শচীন-সুনীল তো প্রশ্ন করেই বসছেন, ফাইনালে বা সেমি ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হলে তখন কি করবে? ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটারের ভাষায়, ভারতে ক্রিকেটের গুরুত্বই আলাদা। ফলে গোটা দেশ থেকে দাবি উঠছে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে না খেলার। সেমিফাইনাল বা ফাইনালে যদি পাকিস্তানের সঙ্গে দেখা হয়, তা হলে ভারত কী করবে, সেটা কিন্তু লোকে বলছে না! তা হলে কী? ফাইনালে যদি পাকিস্তানের সঙ্গে দেখা হয় তা হলে কি ভারত না খেলে কাপটা ওদের দিয়ে দেবে? স্বেচ্ছায় ম্যাচ ছেড়ে দিলে সরাসরি যারা প্রভাবিত হবে, সেই বিরাট কোহলি আর ওর দলের কথা কেউ ভাবছেই না! পাকিস্তানকে ম্যাচ ছেড়ে দেওয়া নিয়ে ওরা কী ভাবছে, কেউ কি জানতে চেয়েছে? গাভাস্কার যোগ করেন ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন ট্রফির কথাও।তিনি বলেন, দুবছর আগে ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতপাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল। তখনও সীমান্তে ভারতীয় জওয়ানদের জীবন যাচ্ছিল। তবে সংখ্যায় কম। পরিস্থিতি অনেকটাই একই আছে। সত্যি বলতে কী, গত ৭০ বছরে ছবিটা খুব কমই বদলেছে। কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে খেলোধুলা, সব সম্পর্ক ছিন্ন হোক এই দাবিটা কি শুধু তখনই উঠবে, যখন সংখ্যায় অনেক জওয়ান নিহত হবেন? তার মানে কি সংখ্যায় কম জওয়ান মারা গেলে, তাদের আত্মত্যাগ আমরা উপেক্ষা করব? শুধু তখনই সম্পর্ক ছিন্নের কথা বলব, যখন নিহত জওয়ানের সংখ্যা বাড়বে? মিডিয়াকেও একহাত নিলেন এই কিংবদন্তি।বলুন তো, পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক, কূটনৈতিক সম্পর্ক এখন কী হবে? টিভি চ্যানেলগুলো এবং মিডিয়ার অন্য মাধ্যমগুলো চাইছে, সম্পর্ক ছিন্ন হোক। কিন্তু তারা কি পাকিস্তানের নেতা, সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের নিজের চ্যানেলে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় ডাকা বন্ধ করবে? যদি সরকার মনে করেন পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক রাখা উচিত না, তাহলে সেটা মেনে নিবেন গাভাস্কারও। তাই বলছি, শুধু ক্রিকেটকে আলাদা করে বেছে নেবেন না। যদি দেশ চায়, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানতে, তা হলে সেটা সব ক্ষেত্রে দরকার। বাস, ট্রেন, বিমানপথে কোনও যোগাযোগ থাকবে না পাকিস্তানের সঙ্গে। কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকবে না। কোনও বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকবে না। সেটা হলে, পাকিস্তানের সঙ্গে খেলাধুলোরও কোনও সম্পর্ক থাকবে না। সব শেষে দুই দেশের মধ্যে সমাধানের মাধ্যমে যাবতীয় সমস্যা দূর করে সম্প্রীতির কথাই বলেছেন গাভাস্কার।যাবতীয় সমস্যা, বিতর্কের সমাধান সম্ভব পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে। তবে সেই সঙ্গে দুদেশের গোপন আলোচনাও জরুরি। তা না হলে পশ্চিমা বিশ্ব অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং তাদের এজেন্টরা, যারা ছড়িয়ে রয়েছে ভারত, পাকিস্তানে, তারা দুদেশের লড়াইয়ে লাভবান হবে।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2E7gIrt
February 24, 2019 at 09:33PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন