বলিউড শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশের দর্শকেরও বিনোদনের অন্যতম ধারক বাহক। যারা সিনেমা পছন্দ করেন অথচ বলিউডের খোঁজখবর রাখেন না, উপমহাদেশে এমন দর্শক খুঁজে পাওয়া দুস্কর হবে। এইসব দর্শক সকলের টেস্ট তো এক নয়। একটা সময় হিন্দী ছবি ধর্ম ভক্তি, দেশপ্রেমের মতো বিষয়ে ছিল ভরপুর। আস্তে আস্তে টেস্ট বদল হতে থাকে। রোমান্টিক দৃশ্যের নামে সিনেমায় দেখানো হয় সাহসী দৃশ্য। বলিউড লিজেন্ড রাজ কাপুরের ছবিতেই নায়িকা পদ্মিনীর বৃষ্টিতে ভেজা কিংবা আর একটু পরে রাম তেরি গঙ্গা মইলি ছবিতে মন্দাকিনীর সাহসী গোসলের দৃশ্যে যৌনতার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীকালে সিনেমার চরিত্ররা আরও বাস্তবসম্মত হয়ে উঠল। রাখঢাক, আড়াল-আবডাল ফেলে সাহসী দৃশ্যায়ন নিয়মিত হয়ে যেতে শুরু করলো। প্রত্যেকটি ইন্ডাস্ট্রির গেট কিপার সেন্সর বলতে যে বোর্ড আছে, তারা এসব ছবি নিষিদ্ধ করেন। তবে প্রাপ্ত বয়স্কদের তকমা দিয়েছে। নির্দিষ্ট বয়সের আগে এসব ছবি দেখা যাবে না বলে সার্টিফিকেট দিয়েছে। তাতে অবশ্য ছবি সংশ্লিষ্ঠদেরাই লাভ। কি আছে ছবিতে কৌতুহল আরো বেড়েছে। বলিউডে প্রাপ্ত বয়স্কদের কিছু ছবি: ১৯৮৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল রেখা ও শেখর সুমনের অভিনয়ে উৎসব। ছবিতে রেখা বাইঝির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ছবির বিষয়বস্তুর নিরিখেই ছবিতে এমন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। ছবিতে শেখর সুমন ও রেখার গোসলের মতো সাহসী অনেক দৃশ্য ছিল ছবিতে। শিল্প নির্দেশনার জন্য ছবিটি জাতীয় পুরস্কারও জিতে নেয়। মায়া মেমসাব ছবিও যথেষ্ঠ হইচই ফেলেছিল। ছবিতে ছিলেন শাহরুখ খান, রাজ বব্বর, ফারুখ শেখ এবং দীপা সাহি। দীপা শাহির নগ্নতার জন্যই ছবিটি আলোচনায় আসে। এ ছবি খবরের শিরোনামে উঠে আসে৷ শাহরুখের সঙ্গে দীপার ঘনিষ্ঠ দৃশ্যও ছিল আলোচনার বিষয়বস্তু৷ রেখা ও ওম পুরির অভিনয়ে আস্থা ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে। এক বিবাহিত মহিলা কীভাবে পতিতায় পরিণত হয়, বা তাকে ফাঁদে ফেলে করা হয়। সেই গল্প দেখানো হয়েছে। ছবিতে বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করেছেন রেখা। সমলোচকদের বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল। অল্প বাজেটের সিনেমা আর প্রাপ্ত বয়স্কদের সিনেমার খেতাব পেয়ে ব্যবসাটাও বেশ ভালো হয়েছে। এক পোলিশ ফিল্মের হিন্দি ভার্সন এক ছোটি সি লাভ স্টোরি। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মণীষা কৈরালা , রণবীর শুরিরা। ছবিতে মনীষা বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। যেটা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। পোলিশ ফিল্মের মনীকা বেলচ্চির মতো অবশ্য অত খোলামেলা হতে পারেননি। দীপা মেহতার ফায়ার মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৬ সালে। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস প্রমুখ। দুই গৃহবধূ, পুরুষতন্ত্রের নিগড়ে আটকা পড়ে কীভাবে একে অন্যেক কাছে চলে এসেছিল তাই দেখিয়েছিলেন পরিচালক। দুই নারী শাবানা-নন্দিতার মিলিত হওয়ার দৃশ্য, নন্দিতার সেমি ন্যুডিটির ছবিটি প্রাপ্পত বয়স্কদের তকমা পায়। এছাড়াও জন-বিপাশা বসুর জিসম, মল্লিকা শেরওয়াত ও ইমরান হাসমির মার্ডার, ঈশা কোপিকার ও অমৃতা অরোরার গার্লফ্রেন্ড, কালকি, অভয় দেওলের দেব ডি, পাওলি দাম, নিখিল দ্বিবেদীর ক্রাইম থ্রিলারে যৌনতার পসরা সাজানো হেট স্টোরি। এই সিরিজের হেট স্টোরি ২,৩তেও ভরপুর ছিল যৌনতা। পুনম পান্ডের নাশা, শিল্পা শুক্লার বিএ পাস, রাগিনী এমএমএস ১,২, নওয়াজ উদ্দীনের বাবু মশাই বন্দুকবাজ,লিপিস্টিক আন্ডার মাই বুরখা, কল ফর ফান, গ্রান্ড মাস্তি, গ্রেট গ্রান্ড মাস্তি, কেয়া কুল হে হাম, সিন্স,কামসূত্র, সিন্স ছবিগুলো এ তকমা পেয়ে মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ব্যবসায়িক হিসেব করলে গ্রান্ড মাস্তি আয় করেছে- ১৩১ কোটি রুপি, রাগিনী এমএমএস - ৬৪ কোটি রুপি হেট স্টোরি ৩ -৬৩ কোটি রুপি কেয়া সুপার কুল হে হাম- ৬১ কোটি রুপি জিসম- ৫০ কোটি রুপি জিসম ২- ৩৬ কোটি রুপি মার্ডার -১৫ কোটি রুপি উল্লেখ্য যে কম বাজেটের সিনেমাই আশ্রয় নেয় যৌনতার। ১০ টাকার সিনেমায় ৫ টাকা লাভের আশায় শিল্পের নামে বলিউড এমন যৌনতার আশ্রয় নেয়। পুরো বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এসব দৃশ্য বা গানের যৌনতা আলাদা করে কোন প্রশংসা কখনোই পায়নি। আর/০৮:১৪/২৯ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2UaC3ew
March 30, 2019 at 05:14AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন