কলকাতা ও শিলিগুড়িঃ দার্জিলিং কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী ঠিক করতে নাস্তানাবুদ বিজেপি। বিদায়ি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকেই আবার প্রার্থী করার কথা ঠিক থাকলেও দলের জেলা নেতত্ব বেঁকে বসায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতত্বের অস্বস্তি বেড়েছে। এমনকি জোটসঙ্গী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (গুরুংপন্থী) এবং জিএনএলএফের কাছেও আলুওয়ালিয়া না-পসন্দ। দুটি দলই দফায় দফায় বিজেপির কাছে একের পর এক নাম প্রস্তাব করছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক হলেও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেওযার শেষ দিন। রবিবারের মধ্যেই বিষয়টি ফয়সলা হয়ে যাবে বলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার বিজেপি প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গে ২৮টি কেন্দ্রের জন্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। কিন্তু সেখানে দার্জিলিং কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ছিল না। ফলে অন্য দলগুলি প্রার্থী ঘোষণা করে পুরোমাত্রায় প্রচার শুরু করে দিলেও হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন পাহাড় ও সমতলের বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে এবারও প্রার্থী করার কথা ভেবে রেখেছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওযার আগে থেকেই আলুওয়ালিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ যায় দিল্লিতে। আলুওয়ালিয়ার গত পাঁচ বছরের কাজকর্মে এই অঞ্চলের মানুষ যে খুশি নন তা বিভিন্নভাবে বোঝানো হয় দলের কেন্দ্রীয় নেতত্বকে। এমনকি গোর্খাদের সম্পর্কে আলুওয়ালিয়ার একটি মন্তব্য ঘিরে দার্জিলিং, শিলিগুড়িতে যে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল তার খবরও দলের একাংশ পৌঁছে দেয় দিল্লিতে। এই অবস্থায় আলুওয়ালিয়াকে সরিয়ে নতুন প্রার্থীর খোঁজ শুরু করে বিজেপি। এরই মধ্যে গুরুংপন্থী মোর্চা শিবিরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জিএনএলএফ বিজেপিকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করে। ওই দুটি দলও বিজেপির কাছে আলুওয়ালিয়াকে প্রার্থী না করার দাবি জানায়। বিকল্প হিসাবে তারা তিনটি নাম প্রস্তাব করে – সৎপাল মহারাজ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং সুব্রহ্মণিয়াম স্বামী। কিন্তু সত্পাল মহারাজ উত্তরাখণ্ডের পর্যটনমন্ত্রী। তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দার্জিলিংয়ে আসার ব্যাপারে ততটা আগ্রহী নন। বিজেপিরই অন্য একটি সূত্রে খবর, গত এক বছরে দার্জিলিং, শিলিগুড়ি এলাকায় ১৭টি ধর্মীয় সভা করেছেন সৎপাল মহারাজ। এখানে তাঁর প্রচুর সমর্থকও রয়েছেন। সেই সূত্রেই তাঁকে দার্জিলিং থেকে প্রার্থী করার পক্ষপাতী বিজেপিও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রার্থী কে হবেন তা কেন্দ্রীয় নেতত্বই ঠিক করবে বলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি। তিনি বলেন, গতবারের প্রার্থী আলুওয়ালিয়া আবার প্রার্থী হলেও আমাদের আপত্তি নেই, তেমনই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপারিশমতো উত্তরাখণ্ডের মন্ত্রী সৎপাল মহারাজ প্রার্থী হলেও আপত্তি নেই। তিনি জানান, এর আগেও মোর্চার সঙ্গে কথা বলেই প্রার্থী ঠিক হয়েছে। এবার মোর্চার পাশাপাশি জিএনএলএফও সমর্থন করেছে। তাদের সবার সঙ্গে আলোচনা করেই প্রার্থী ঠিক হবে।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2HDpB08
March 24, 2019 at 12:24PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন