ঢাকা, ২৪ মার্চ- বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহকে আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে বাদ জোহর জানাজা হবে বারিধারার ৯ নম্বর রোডের পার্ক মসজিদে। জানাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাহনাজ রহমতউল্লাহর স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতউল্লাহ। গেলো রাত সাড়ে ১১টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহ। বিষয়টি জানান সঙ্গীতশিল্পী শফিক তুহিন। শাহনাজ রহমতউল্লাহর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শোক জানিয়ে পোস্ট করছেন ভক্তরা। শাহনাজ রহমতউল্লাহর স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতউল্লাহ ব্যবসায়ী, ছেলে এ কে এম সায়েফ রহমতউল্লাহ কানাডায় থাকেন, মেয়ে নাহিদ রহমতউল্লাহ থাকেন লন্ডনে। ১৯৫২ সালে জন্ম নেয়া এই শিল্পী মাত্র ১১ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে রেডিও এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে গানে জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৬৪ সালে টেলিভিশনে প্রথম গান করেন। পাকিস্তানে থাকার সুবাদে করাচি টিভিসহ উর্দু ছবিতেও গান করেছেন। গান শিখেছেন গজল সম্রাট মেহেদী হাসানের কাছে। দেশীয় গানে সবার শীর্ষে আছেন শাহনাজ রহমতউল্লাহ। তার উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে আছে প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, আমার দেশের মাটির গন্ধে, আমায় যদি প্রশ্ন করে, একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়, এক নদী রক্ত পেরিয়ে, একতারা তুই দেশের কথা বল রে আমায় বল প্রভৃতি। এছাড়া বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় শাহনাজ রহমতুল্লাহর চারটি গান স্থান পায়। এগুলো হলো, এক নদী রক্ত পেরিয়ে, জয় বাংলা বাংলার জয়, একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয় ও একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল। শাহনাজ রহমতউল্লাহ ১৯৯০ সালে ছুটির ফাঁদে ছবিতে গান গেয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৯২ সালে পান একুশে পদক। চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড এর সৌজন্যে তিনি পেয়েছেন আজীবন সম্মাননা। এছাড়া গান গেয়ে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সূত্র: আরটিভি আর এস/ ২৪ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2URUsJl
March 24, 2019 at 06:23PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top