কঠোর পরিশ্রম, নিয়মিত অনুশীলন একজন ভালো ফুটবলার হওয়ার মূলমন্ত্র। ফুটবলকে পেশা হিসেবে নিতে হলে, শুরু করতে হয়ে ছোটকাল থেকে। এজন্য অনেকেই পড়াশোনা করার সময় পান না বলেই চলে। ফলে অল্পসংখ্যক পেশাদার ফুটবলার শেষ করতে পেরেছেন উচ্চশিক্ষার সিঁড়ি। এমনই কয়েক জনের কথা জানবো। ভিনসেন্ট কোম্পানি (বেলজিয়াম): তারায় তারায় ভরপুর ইংলিশ ক্লাব ম্যানেচেস্টার সিটির স্কোয়াডে ভিনসেন্ট কোম্পানিকে ধরা হয় দলের নিউক্লিয়াস হিসেবে। ম্যানসিটিতে ডিফেন্সিড মিডফিল্ডার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও পরবর্তীতে হয়ে যান সেন্টার ব্যাক। হাতে পরেছেন অধিনায়কের আর্মব্যান্ড। এই পজিশনে তিনি সেরাদের একজন। ক্লাব কিংবা আন্তর্জাতিক তাঁর উপস্থিতি সব জায়গায় সমানভাবে। তারকা ফুটবলার হয়েও পুরোপুরি মন ভরেনি এই বেলজিয়ানের। ২০১২ সালে তিনি ভর্তি হন ম্যানচেস্টার বিজনেস স্কুলে। অনেক পরিশ্রমের পর ২০১৭ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে শেষ করেন এমবিএ। কোম্পানির আরো একটি বড় যোগ্যতা হলো অনেক ইংলিশ ফুটবলারের চেয়েও তিনি ভালো ইংরেজি বলতে পারেন। হুয়ান মাতা (স্পেন): বিশ্বকাপ, ইউরো কাপ, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগকী নেই হুয়ান মাতার অর্জনে। ২০১১ সালে ইংলিশ ক্লাব হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতেন এই স্প্যানিশ। স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ এবং ইউরো কাপ জেতা এই ফুটবলারকে নিয়ে আলোচনা কম হয়েই থাকে। খেলার মাঠে যোগ্য সম্মান না পেলেও শিক্ষাক্ষেত্রে দেখিয়েছেন মুন্সিয়ানা। রিয়াল মাদ্রিদের ইউনিভার্সিটি ক্যামিলো হোসে সেলা থেকে ক্রীড়াবিজ্ঞান এবং ফিন্যান্স বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়েছেন হুয়ান মাতা। জর্জো কিয়েল্লিনি (ইতালি): সেরা সেন্টার ব্যাক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন অনেক আগেই। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার পর তাকে নিয়ে আলোচনা আরো বেড়ে গেছে। কারণ এ মৌসুমে জুভেন্টাসের আর্মব্যান্ড তাঁর দখলে। তুরিনের ওল্ড লেডিদের যত সাফল্য, তার অংশীদার কিয়েল্লিনিও। মাঠের খেলাতেই সীমাবদ্ধ নেই তার খ্যাতি। জুভেন্টাসের হয়ে খেলার সময় ২০১০ সালে ইউনিভার্সিটি অব তুরিন থেকে ইকোনমিক্স অ্যান্ড কমার্সে লরিয়া (স্নাতক) পাস করেন এই ইতালিয়ান। এখনো ধরে রেখেছেন শিক্ষাজীবন। একই কোর্সে মাস্টার্স ডিগ্রিও সম্পন্ন করেন তিনি। এমএ/ ০৪:২২/ ০১ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2BXkVhc
March 01, 2019 at 10:55PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top