ওয়েলিংটন, ১৫ মার্চ- কয়েকটি জঙ্গী হামলার কারণে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলতে আসেনি অস্ট্রেলিয়া। সর্বোচ্চ স্তরের ভিভিআইপি এমনকি প্রেসিডেন্সিয়াল নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে আসতে অস্বীকৃতি জানায় তারা। এমনকি ২০১৬ সালে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে পর্যন্ত অংশ নিতে আসেনি অসিরা। নিউজিল্যান্ডও অনেক গড়িমসির পর সেই টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। অথচ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বাইরের কোনো দেশে সফর করতে গেলে তাদের জন্য যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়, তা রীতিমত বিস্ময়কর। নামকাওয়াস্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিরাপত্তাই নেয়া হয় না ক্রিকেটারদের জন্য। সেটা যে কতটা সত্য, তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে জঙ্গী হামলার পর। ভয়াবহ সেই হামলায় এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। সন্ত্রাসীর ব্রাশফায়ারে মসজিদেই লুটিয়ে পড়ে অনেক মানুষ। রক্তে ভেসে যেতে থাকে মসজিদের চত্ত্বর। ওই মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার কথা বাংলাদেশ দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের। তারা নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে উপস্থিত হয়েছিলও। ততক্ষণেই ঘটে গেছে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। টিম বাস মসজিদের সামনে পৌঁছার পরই ক্রিকেটাররা জানতে পারেন মসজিদের ভেতর কিছু ঘটেছে। এরপর এক অচেনা নারীর সতর্কবার্তার ফলেই বাস থেকে ক্রিকেটাররা না নেমে ফিরে যান হাগলি ওভাল স্টেডিয়ামে। জানা গেছে, ক্রিকেটারদের সঙ্গে ওই সময় ন্যুনতম একজনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। এমনকি টিমের লিঁয়াজো অফিসার পর্যন্ত ছিল না তামিম-মুশফিকদের সঙ্গে। এমন নিরপত্তাহীন অবস্থায় ক্রাইস্টচার্চে কঠিন বিপদের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ৫ মিনিটের হেরফের হলেই হয়তো, দেশের মূল্যবান সম্পদ ক্রিকেটারদের হারাতে হতো এই ভয়াবহ জঙ্গী হামলায়। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যে কোনো নিরাপত্তা রক্ষী ছিল না এবং তাদের ওই সময়কার পরিস্থিতি হুবহু তুলে ধরেছেন, দলের সঙ্গে ক্রাইস্টচার্চে থাকা, প্রথম আলোর ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র। যেটা আবার নিজের স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন সাকিব আল হাসানের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। উৎপল শুভ্র যেটা লিখেছেন, সেটা হুবহু তুলে ধরা হলো জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ দলের বাস তখন মসজিদের সামনে। ক্রিকেটাররা বাস থেকে নেমে মসজিদে ঢুকবেন, এমন সময় রক্তাক্ত শরীরের একজন মহিলা ভেতর থেকে টলোমলো পায়ে বেরিয়ে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান। ক্রিকেটাররা তখনো বুঝতে পারেননি ঘটনা কী। তাঁরা হয়তো মসজিদে ঢুকেই যেতেন, যদি না বাসের পাশের একটা গাড়ি থেকে এক ভদ্রমহিলা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বলতেন, ভেতরে গোলাগুলি হয়েছে। আমার গাড়িতেও গুলি লেগেছে। তোমরা ভেতরে ঢোকো না। ক্রিকেটাররা তখন বাসেই অবরুদ্ধ হয়ে আটকা পড়ে থাকেন বেশ কিছুক্ষণ। কারণ পুলিশ ততক্ষণে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। বাসে বসেই তাঁরা দেখতে পান, মসজিদের সামনে অনেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। অনেকে রক্তাক্ত শরীর নিয়ে বেরিয়ে আসছেন মসজিদ থেকে। যা দেখে আতঙ্কে অস্থির হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। কারণ বাসে কোনো নিরাপত্তাকর্মী দূরে থাক, স্থানীয় লিয়াজোঁ অফিসারও ছিলেন না। তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ২৪ আরএস/ ১৫ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2O7gHbx
March 15, 2019 at 11:24PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top