গোয়ালপোখরে লোপাট হচ্ছে রাস্তার ধারের গাছ

চাকুলিযা, ১ মার্চঃ চাকুলিযা ও গোয়ালপোখর এলাকার রাস্তার ধারে সরকারি গাছগুলিকে কেটে সবুজ পরিবেশ ধ্বংস করছে দুষ্কৃতীরা। এখানে লাইসেন্স ছাড়াই গড়ে উঠেছে বহু কাঠ চেরাই কল। অভিযোগ, কাঠ চোরদের পেছনে এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে।

এক সময়  চাকুলিয়া থেকে রামপুর, কানকি, গন্ডাল, ধরমপুর, গোয়াগাঁও প্রভতি রাস্তার ধারে অসংখ্য গাছ ছিল। সেইসব এলাকায় এখন রাস্তার ধারে গাছ নেই। দিনের পর দিন গাছ কাটার ফলে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রাস্তা ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। এলাকার চোরাই কাঠের কারবারিরা রাতের অন্ধকারে রাস্তার গাছ কেটে কাঠমিল মালিকদের কাছে বিক্রি করে। কাঠমিল মালিকরা সেই গাছগুলিকে মিলে চিরে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।

বন দপ্তরের আধিকারিকদের চরম উদাসীনতায় দুষ্কৃতীরা সুযোগ পাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিবেশপ্রেমী আশুতোষ দাস বলেন, এলাকায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই কাঠমিলগুলি গড়ে উঠেছে। তারা সবুজ পরিবেশ ধ্বংস করতে দুষ্কৃতীদের মদত দিচ্ছে। দিনের পর দিন এইভাবে সবুজ ধ্বংসের ফলে এলাকায় দূষণের মাত্রা ভয়ানকভাবে বাড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাস্তার গাছ কাটা হয় কখনও দিনেরবেলায়, আবার কখনও গভীর রাতে। যে গাছগুলি দিনেরবেলায় কাটা হয়, সে গাছগুলি বেশিরভাগ মরা ও শুকনো গাছ। আগে থেকে সজীব গাছগুলির বাকল খুলে রাখা হয়। পরে সেগুলি ধীরে ধীরে খাদ্যের অভাবে শুকিয়ে যায়। তখন চোরা কারবারিরা গাছগুলি কেটে ফেলে। এছাড়া দিনেরবেলায় সজীব গাছ কাটার সময় নানা কৌশল অবলম্বন করে দুষ্কৃতীরা। কেউ তাদের জিজ্ঞেস করলে সদর্পে উত্তর আসে, অনুমতি নিয়ে কাটা হচ্ছে। আবার কোনো সময় বলে, আমরা গরিব মানুষ। মেয়ের বিয়ে দিতে পারছি না। প্রধানের অনুমতি নিয়ে কাটছি। শীত বা বর্ষার সময় রাতের অন্ধকারে গাছ কাটার প্রবণতা বেড়ে যায়। সেই সময় রাস্তার প্রচুর গাছ কেটে লোপাট করা হয়।

এ প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলার বন দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, জেলার সব ব্লকেই গাছ লাগানো হচ্ছে। আগামীদিনে আরও গাছ লাগানোর চেষ্টা করা হবে। গাছ কাটার বিষয়ে তিনি বলেন, গাছ লাগানোর পর আমাদের দাযিত্ব থাকে তিন বছর। বাকিটা সময় দেখাশোনার দাযিত্বে থাকেন স্থানীয় স্তরের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, সভাপতি ও বিডিও। গাছ কাটার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। স্থানীয বিডিওর সঙ্গে কথা বলে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয পদক্ষেপ করা হবে।



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2IIZmXp

March 01, 2019 at 03:30PM
01 Mar 2019

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top