চলতি মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনার সামনে শক্ত প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে ম্যানইউর বিপক্ষে সুখস্মৃতি রয়েছে বার্সার। ২০০৯ এবং ২০১১ সালে ইউরোপ সেরার ফাইনালে ইংলিশ ক্লাবটিকে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করেছিলো কাতালানরা। তবে ম্যানইউর কোচ ওলে গানার সোলসকায়ের ১৯৯৯ সালের ফাইনাল থেকে আত্মবিশ্বাস নিতে পারেন। সেবার ম্যাচের ৯৩ মিনিটে তাঁর নিজের গোলে বার্সেলোনাকে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করেছিলো ম্যানইউ। এছাড়া স্প্যানিশ মিডিয়ার দাবি ক্লাব ফুটবলের ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে ছয় কারণে বার্সার চেয়ে এগিয়ে ম্যানইউ। ফুটবলারদের উচ্চতা: বার্সেলোনার চেয়ে রেড ডেভিলদের উচ্চতা অনেক বেশি। উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে হাওয়ায় ভাসানো বলগুলো গোলে রূপান্তিত করতে জুড়ি নেই পল পগবা-রোমেলু লুকাকুদের। এখন পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় ৫টি গোল করছে হেডের সাহায্যে। এখানে ম্যানইউর চেয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে বার্সেলোনা। ম্যানইউর অজেয় বোধ: দলের গুরুত্বপূর্ণ ১০ ফুটবলার ইনজুরিতে। তার উপর পিএসজির বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-০ গোলের হার। তারপরও শক্তিশালী ফরাসি ক্লাবকে পেছনে ফেলে কোয়ার্টার ফাইনালে এসেছে ম্যানইউ। এছাড়া সবশেষ ১৯ ম্যাচে ১৪টি জয় তাদের। আত্মবিশ্বাসের পারদটা বেশ উঁচুতে ম্যানইউর। ফলে এখানেও বার্সার তুলনায় এগিয়ে থকেব ইংলিশ ক্লাবটি এমনটাই দাবি গণমাধ্যমের। দুরন্ত পগবা: ম্যানইউর কোচের সাফল্যের পেছনে পল পগবার অবদান অনেক। হোসে মরিনহোর সময় ২০ ম্যাচে পগবার গোল ছিলো ৫টি সঙ্গে অ্যাসিস্ট ৪টি। কিন্তু বর্তমান কোচের অধীনে ১৮ ম্যাচে করেছেন আট গোল। আর সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরো ছয় গোল। সুতরাং মাঝমাঠে দুদলের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন ফরাসি এই তারকা। নম্বর নাইন অথবা ফলস নাইন: বার্সা কোচের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে প্রতিপক্ষের স্ট্রাইকার। কে খেলবেন এটা এখনো নিশ্চিত নয়। ফলস নাইনে দুর্দান্ত খেলেছেন জেসে লিনগার্ড। তবে তাঁর ইনজুরিতে নম্বর নাইন পজিশনে দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছেন রোমেলু লুকাকু। শেষ চার ম্যাচে ছয় গোল করেছেন বেলজিয়ান এই স্ট্রাইকার। সুতরাং বার্সেলোনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে ম্যানইউর নম্বর নাইন অথবা ফলস নাইন। মারাত্মক কাউন্টার অ্যাটাক: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাফল্যে মূল কারণ হলো কাউন্টারঅ্যাটাক। কোচ ওলে গানার সোলাসকায়ের, মধ্যমাঠ এবং আক্রমণ ভাগকে কাজে লাগিয়ে কাউন্টারঅ্যাটাক নির্ভর ফুটবলার উপহার দিচ্ছেন দর্শকদের। বিশেষ করে পল পগবা, লুকাকু ও মার্শালের মতো দ্রুতগতির সম্পন্ন ফুটবলারদের কারণে আরো ক্ষুরধারা হয়েছে ম্যানইউর কাউন্টারঅ্যাটাক। এতে নিয়তিম ভাবে ভালো পাচ্ছেন ফুটবলাররা। ফলে ম্যাচ জিতছে রেডডেভিলরা। সুরক্ষিত গোলবার: ২০১৮ বিশ্বকাপের বাজে পারফরম্যান্সের পর নিজেকে ফিরে পেয়েছেন গোলরক্ষক ডেভিড গিয়া। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শতাধিক ম্যাচে গোল না খাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এছাড়া টটেনহ্যামের বিপক্ষে এক ম্যাচেই ১১টি নিশ্চিত গোল থেকে রক্ষা করেন ম্যানইউকে। সুতরাং তাকে পরাস্ত করতে ঘাম ঝড়াতে হবে মেসি-সুয়ারেজদের। আর যদি বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যানইউর গোলবার সুরক্ষা করতে পারেন ডেভিড গিয়া, তাহলে কপাল পুড়বে বার্সা সমর্থকদের। এমএ/ ০৫:৩৩/ ১৭ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ubUHTB
March 17, 2019 at 11:20PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top