এগিয়ে এসেছে সুক্তি, বিপদের শঙ্কা বীরপাড়ার নিউলাইনে

বীরপাড়া, ৫ মার্চঃ পাড়বাঁধ ভেঙে বীরপাড়ার লোকালয়ের দিকে এগিয়ে এসেছে  সুক্তি নদী। বীরপাড়ার নিউলাইনে সুক্তি নদীর ভাঙন রোধে তৈরি বোল্ডার বিছানো বাঁধের প্রায় একশো মিটার অংশ গতবছর বর্ষায় ভেঙে গিয়েছে। পাড়বাঁধ ভেঙে বসতি এলাকার বেশ কিছুটা অংশ ইতিমধ্যেই গ্রাস করেছে সুক্তি নদী। আগামী বর্ষার আগেই পাড়বাঁধ পুনর্নির্মাণ না করা হলে বেশ কিছু বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বীরপাড়ার বুক চিরে পূর্ব-পশ্চিমে প্রবাহিত হয়েছে সুক্তি নদী। নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত বীরপাড়ার নিউলাইন মহল্লা। নদীর পাড়ের ভাঙন রোধে কয়েক বছর আগে মাটি ও বোল্ডার দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল পাড়বাঁধ, জানান স্থানীয়রা। তাঁরা জানান, গত বছর বর্ষাকালে ওই পাড়বাঁধের প্রায় একশো মিটার অংশ নদীগর্ভে চলে যায়। এরপর বিনা বাধায় বসতি এলাকার বেশ কিছুটা জমি গ্রাস করে সুক্তি নদী। প্রসঙ্গত, যে এলাকায পাড়বাঁধ ভেঙেছে, ঠিক তার উলটো দিকে উত্তর দিক থেকে এসে সুক্তি নদীতে মিশেছে দলমোরঝোরা। তীব্রগতিতে দলমোরঝোরার জলস্রোত উত্তর দিক থেকে এসে আছড়ে পড়ে সুক্তি নদীর বুকে। ফলে, নদীর দক্ষিণ দিকে অবস্থিত পাড়বাঁধের একাংশ ভেঙে গিয়েছে।

এলাকার বাসিন্দা সানজিরুল ইসলাম বলেন, গতবছর নদীর পাড়বাঁধ ভেঙে মহল্লার কিছুটা জমিও নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। আগামী বর্ষার আগেই পাড়বাঁধ পুনর্নির্মাণে ব্যবস্থা না নিলে বেশ কিছু বাড়ি সুক্তি নদীতে তলিয়ে যাবে। এলাকার আরেক বাসিন্দা আজিজুল হক বলেন, সুক্তি নদীর দুই তীরের জমিতে মাটির চেয়ে বালি বেশি রয়েছে। ফলে বোল্ডার ব্যবহার করা হলেও বালির বাঁধ জলের ধাক্কা সহ্য করতে পারেনি। প্রচুর বোল্ডার ব্যবহার করে নতুন বাঁধ তৈরি না করা হলে ভাঙন আটকানো সম্ভব নয়।

প্রতি বছর হড়পায় প্লাবিত হয় বীরপাড়ার বিভিন্ন এলাকা। ভুটান পাহাড় থেকে বিপুল পরিমাণ জল সুক্তি নদী ও দলমোরঝোরার মতো ছোটো ছোটো ঝোরা দিযে বীরপাড়ার দিকে ধেয়ে আসে। সুক্তি নদীর বিভিন্ন জায়গা সহ স্থানীয় ঝোরাগুলির বেশিরভাগের তীর অরক্ষিত থাকায় কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই প্লাবিত হয় বীরপাড়ার বিভিন্ন এলাকা। গত বছরের হড়পায় নিউলাইনে সুক্তির পাড়বাঁধ ভেঙে বীরপাড়ায় প্লাবনের জল ঢোকার পথ আরও প্রশস্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুক্তি নদীতে বর্ষা ছাড়া অন্য মরশুমে জল থাকে না। কিন্তু বর্ষাকালে ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে পুষ্ট হয়ে ভযংকর রূপ ধারণ করে সুক্তি সহ অন্যান্য নদী ও ঝোরা। সুক্তি নদীর পাড়ের জমিতে মাটির চেয়ে বালির পরিমাণ বেশি থাকায় ভাঙনের মাত্রাও বাড়ে। এ প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলাপরিষদের বীরপাড়ার সদস্যা জসিন্তা লাকড়া বলেন, সুক্তি নদীর ভাঙা পাড়বাঁধ নিয়ে খোঁজখবর করে দেখছি।



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2NGtv8F

March 05, 2019 at 03:12PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top